আর থার্সডে নাইট!
'বৃহস্পতিবার'! উচ্চারণ করতেই কেমন বড় বড়! বলছেই 'বৃহস্পতি'! তো, বড় তো হবেই, না? বিজ্ঞাপনের কাজের অফিসে বৃহস্পতিবার বিকাল-টা কখনই ছুটির ডাক না সেভাবে, কারণ পরের দুইদিন বন্ধ ব'লে বৃহস্পতিবারেই থাকে সর্বোচ্চ পজিটিভ-আউটপুট ('ইতিবাচক' আর 'ফলাফল' অর্থে না, প্রেসের স্ট্রিক্ট টার্মে 'পজিটিভ' আর 'আউটপুট'!) দেয়ার ভয়াবহ তাড়া! ক্লায়েন্ট মাত্রই চায় বৃহস্পতিবারে ক্রিয়েটিভ জিনিসের আইডিয়েশন বা ডিজাইন-লেআউট অ্যাপ্রুভ ক'রে দিয়েই রবিবারের ফাইন-মর্নিংয়ে লম্বা সহবাস-ঘুমের উঁচু হাইয়ের সাথে, হাইক্লাস চায়ের সাথে প্রডাকশন দেখবে আর মতামত োদাবে! মানে, শুক্র-শনির দিনগুলোয় যখন তারা সপরিবারে ফ্যান্টাসি কিংডমে হাট্টিমাটিমটিম করতে করতে সুখের ডিম পাড়বে, তখন তাদের রবিবারের ফাইন-মর্নিং আর গুড-ডে নিশ্চিত করতে আমাদের থাকতে হবে অ্যাডমেকারস আর প্রিন্টারসের সাথে কখনও সশরীরে কখনও অন্তত ফোনে লেগে- ঠেলাধাক্কায়, টানাপোড়েনে, আর তাগাদার পর তাগাদায়। আর এই শুক্র-শনিতে ক্লায়েন্টকে যেহেতু পাওয়া যাবে না বা যাতে শুক্র-শনিতে ক্লায়েন্টের আরামের মধ্যে বিরক্ত না করতে হয়- সেই কারণে, ক্লায়েন্ট সদয় হয়ে ঘাড়ের ওপর থাকতে থাকতে যা পারো অ্যাপ্রুভ করাও, তারপরে যদি পারো যতো পারো মুড়ি খাইও।
আমারও বৃহস্পতিবারেই বেশি খ্যাচখ্যাচ করতে হয়। ছোটলোকি আমি করতে পারি না অথবা পারতে করি না জুনিয়র ক্রিয়েটিভ, আর্টিস্ট-ডিজাইনার কিংবা ক্লায়েন্ট রিলেশনস এক্সিকিউটিভদের সাথে। আর, ক্লায়েন্ট তো চশমা-পরা ঈশ্বর খোদ! তবু, কাজের দঙ্গলে এক জিনিসেরও দশটা ক'রে কারেকশন, ফিডব্যাক, না-বোঝা, বুঝতে-না-চাওয়া, ভুদাইয়ি আর বোকা-োদা বিটকালির ফেরে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়। মাস কয়েক আগে আমার এক ঘনিষ্ট ক্লায়েন্টপক্ষের হেড বোকা-োদা-টা [গাটস-ওয়ালা গুটিকয়েক কাজের হেড অব মার্কেটিং-রে আমরা বলি 'হেডম মার্কেটিং', আর সংখ্যাগরিষ্ঠ বোকা-োদা-গুলারে 'বোকা-োদা'ই বলি।] আমার মতো নির্বিষ ভদ্রলোকরেও না কি (আমাদের আর্ট সুপারভাইজারের কাছে বলেছে সে।) খেতাব দিছে "বাংলাদেশের সবচে' ঘাউড়া ক্রিয়েটিভ"! আমি রাগ করি নাই। ক্লায়েন্টের ওপর রাগ করা ভালো না, আর বোকা-োদা-দের ওপর রাগ করা তো আরো বোকা-োদামি। তাই, আমি রাগ না কইরা বড়লোক গ্রুপ-বসের সম্মানজনক চাকরামি করি, ভাত-চা খাই, আর ক্লায়েন্ট প্লাস ইনসাইড-সহকর্মীদের সাথে প্রোঅ্যাকটিভ হইয়া যতোদূর সম্ভব সমুচিত ঘাউড়ামি ঘাড়-ত্যাড়ামি করি।
আমারও বৃহস্পতিবারেই বেশি খ্যাচখ্যাচ করতে হয়। ছোটলোকি আমি করতে পারি না অথবা পারতে করি না জুনিয়র ক্রিয়েটিভ, আর্টিস্ট-ডিজাইনার কিংবা ক্লায়েন্ট রিলেশনস এক্সিকিউটিভদের সাথে। আর, ক্লায়েন্ট তো চশমা-পরা ঈশ্বর খোদ! তবু, কাজের দঙ্গলে এক জিনিসেরও দশটা ক'রে কারেকশন, ফিডব্যাক, না-বোঝা, বুঝতে-না-চাওয়া, ভুদাইয়ি আর বোকা-োদা বিটকালির ফেরে মাথা ঠিক রাখা মুশকিল হয়ে যায়। মাস কয়েক আগে আমার এক ঘনিষ্ট ক্লায়েন্টপক্ষের হেড বোকা-োদা-টা [গাটস-ওয়ালা গুটিকয়েক কাজের হেড অব মার্কেটিং-রে আমরা বলি 'হেডম মার্কেটিং', আর সংখ্যাগরিষ্ঠ বোকা-োদা-গুলারে 'বোকা-োদা'ই বলি।] আমার মতো নির্বিষ ভদ্রলোকরেও না কি (আমাদের আর্ট সুপারভাইজারের কাছে বলেছে সে।) খেতাব দিছে "বাংলাদেশের সবচে' ঘাউড়া ক্রিয়েটিভ"! আমি রাগ করি নাই। ক্লায়েন্টের ওপর রাগ করা ভালো না, আর বোকা-োদা-দের ওপর রাগ করা তো আরো বোকা-োদামি। তাই, আমি রাগ না কইরা বড়লোক গ্রুপ-বসের সম্মানজনক চাকরামি করি, ভাত-চা খাই, আর ক্লায়েন্ট প্লাস ইনসাইড-সহকর্মীদের সাথে প্রোঅ্যাকটিভ হইয়া যতোদূর সম্ভব সমুচিত ঘাউড়ামি ঘাড়-ত্যাড়ামি করি।
বৃহস্পতিবার তাই ছুটির শুক্র-শনির আগের (শেষ)বিকালের চাইতেও আমার কাছে আসোলে বেশি ক'রে মিন করে গত পাঁচটা দিনের কাজের ভোজ্য-ফল আর বর্জ্য-বাকলগুলার ফোলা-ভারি একটা বিরাট গার্বেজ, দেবী দশভূজা-রে দশমীর মতো পুরাপুরি না ভাসানো-চুবানো পর্যন্ত যেই নাকানিচুবানি থেকে এইসব কনগ্লোমারেট কর্পোরেট চাকরবান্দাদের মুক্তি নাই। হাফ-অফিস তো দূরে থাক, ছুটির আমেজে হালকামি তো হারাম নাফরমানি, নরমাল অফিস-শেষের টাইমেও বাইরান যায় না বৃহস্পতিবারে তেমন একটা। তার মধ্যে আবার আমরা কয়েকজন তো বসের শিষ্যত্ব নিয়া অ্যামনেই কাজ কম থাকলেও অফিসে বেশি থেকে অভ্যাস ক'রে অ্যাডভার্টাইজিং নামক মহান 'কলিং'য়ের ("ইট'স নো প্রফেশন, ইট'স আ কলিং"!) যোগ্য ফুলটাইমার হওয়ার সাধনায় আছিই, থাকবোও হয়তো আরো অন্তত বছরকয়েক।
আমার একটা ছোট্ট মিষ্টি বন্ধু আরো গ্যাদাকাল থেকে 'বৃহস্পতিবার'-কে 'বিস্পতিবার' বলে, নেত্রকোণার বালিশমিষ্টির চেয়েও অনেক মিষ্টি লাগে আমার কাছে ওইটা! এই বারটার রাতের বেলায় বরাবর সে আমারে 'হ্যাপি ফ্রাইডে' উইশও করে। বিস্পতিবারে আমার সবে-ধন আনন্দ আসোলে এইটুকুই হয়।
তবু রোজার এক বিস্পতি-বিকালে সংযম-মাসের কারণে ভেজালটাও একটু হইলেও কম যখন, তখন প্রায় সূর্য-নামে-পাটে টাইমে সিমনানন্দ হঠাত্ ফেসবুকের জানলায় টুক্কা মাইরা উঁকি মাইরা আমার ঝুঁকি বাড়ায়া যখন কয়- "শাহবাগ যাইবেন্নি?", তখন অভ্যাস-ব্যস্ততার বন্দিত্বের কারণেও হয়তো :- এর পরে O দিলে যে ইমোটাইকন-টা হয়, তার মতো ক'রে আমার মাথা কয়েকবার দশদিকে চক্কর খায় লিটারেলি! আমি তা-ও ভদ্রলোক হইয়া জিগাই- "ক্যান?"! সিমনানন্দ কয়- "আইজক্যা থার্সডে নাইট না?!" আমি না-লিখলেও মনে মনে একবার কই- "কয় কী মমিন্যা! এই থার্সডে নাইট জানি কী জিনিস! আগে কখনও কোথাও শুনছি শুনছি লাগে"! তবু, একটু শান্ত হইলাম, করণ সিমনানন্দ আরো কয়েকটা ছোট্ট ছোট্ট বোনাফাইডে বোমা ফাটায়ে যাচ্ছে আমার চোখের সামনে ওই জানলার কোনাটায়- "আপ্নেরে তো আড্ডায় ডাকলে কখনও পাই-ই-না!" ধরনের। আমি মনে মনে কই- ছেলে কথা তো সত্যই বলছে, সেই না-পাওয়ার কারণ যা-ই হোক না কেন। প্রতিভাধর এই বিরাট শাহেনশাহ আরো মাসখানেক আগেই একবার আমারে "মিডিয়াকম-এর সিইও" বইলা আখ্যা (মানে, আসোলে গাইল) দিছিলো- সেইটাও মনে পড়ে আমার। সিমনানন্দ আমারে জিজ্ঞাসাবাদ কইরা আমার সুবিধা বোঝে, হয়তো তলে তলে আমার ইচ্ছা করতেছে-টাও বোঝে বইলাই নিশ্চয়ই। রাইয়ান (রায়হান না, গফুরও না) আর সিমনানন্দ সিয়েঞ্জি করে যাবে ইফতারের পরপর, তারা আমারেও সেইটাতে উঠায়া নিতে পারবে- এইগুলা শুইন্যা আমি নিজের সাথে একটু চামবাজি করি আর একটু একটু ক'রে রাজি হই- "চলেন!"
.............................................
বিশ-কাপ চাড্ডা!
তবে জনাব, বিশজনে না মোটে। পাঁচজনে, দেড় ঘণ্টায়! হ। তয়, খালিই চা (ও নাহ্, ওই যে কইলাম- আড্ডা খাইছি সাথে, ভিজায়া ভিজায়া নরম কইরা)!
আমি প্রথমে ভাবছিলাম আমরা বুঝি চারুকলা-ছবিরহাট জাতীয় কোনো রেনেসাঁ-স্পটে যাইতেছি! কিন্তু না, পরে দেখলাম- আমাদের সিয়েঞ্জিটা পিজি-আধূনিক ডাইনে রেখে ঘুরলো, তারপর সোজা সেই ডাইনের লাইনেই আগাইতে থাকলো! হ, সুপার-রেনেসাঁ-স্পট! আজিজ সুপার মার্কেট, শাহবাগ, ঢাকা ১০০০।
আমরা তাইলে টুটুল ভাইয়ের বইখানায় আড্ডাবো?! কিন্তু, এ কী রে ভাই! টুটুল ভাই-ই তো আগে বাঙ্ক মাইরা বইসা আছেন! নাই, শুদ্ধ নাই, স্বর নাই, আমাদের টুটুল ভাই আজিজে নাই। ফোন দেয় সিমনানন্দ, কিন্তু সেই ফোন তো টুটুল ভাইয়ের ধরনের নিয়ম নাই! অফসেট সাদা রঙের কৃষ্ণবণিক-রেও ফোন দেয় রাইয়ান, সেও ব্যস্ত অন্য জায়গায় দরকারি আড্ডায়। সিমনানন্দ আরেকজন বিখ্যাত তরুণের বাসায় যাওয়ার ঘ্যানঘ্যানটা দ্বিতীয়বারের মতো তোলে, কিন্তু কোনো কারণে, বা অকারণেই হয়তো, ঠিক তখন আমরা তেমন ভালা পাই না ওই ইনডোরের প্রস্তাব।
মই খুঁজি গাছ থেকে নামতে, নিচতলায় গিয়া চা খাইগা আমরা নিচুতলার অশুদ্ধ মানুষগণ- এইডাই ঠিকাছে! নামতে নামতে সুরি (শেরশাহ সূরী বা সঞ্জয় সুরি না, আরেক বুয়েটি শব্দশিল্পী সু.রি.!) ফোন্দিলো সিমনানন্দরে। সে আসছে নিচে। নেমে দেখা হইলো তার সাথে, আমার সাথে সুহানের এইটাই প্রথম দেখা। আমি এমনি দেখলেও ধারণা করতে পারতাম, তার মধ্যে আবার যেহেতু জানতামই সে আসছে, সে-ই কারণে বুঝলাম পুরাই, কিন্তু আমারে তো সে চেনে না। আমিই আগ বাড়ায়া কথা বললাম তার সাথে। সে কয়- "আপনি?" আমি তো মহামতি লীলেন না, তাই আমি ঠিকঠাক আমার নাম বলি সংক্ষেপ কইরা- সাইফুলাক্বর্খান!
চারপাগলের মেলা যখন চায়ের কাছে যাইতে থাকে, তখনই স্বভাব-সুলভ অকারণ মুছুয়া হাসি নিয়ে এসে যোগ দেয় তারেক (মাসুদ না)। তারেক আসলে আমরা চার থেকে পাঁচ পাগল হই না কিন্তু, হয়ে যাই পাঁচপাণ্ডব! তারেকের মহাভারতসফর সম্পর্কে যে কিছু শোনেন নাই, তারে এই মুহূর্তে সেই মহাগল্প আমি বলতে পারবো না, মাফ করেন।
আমরা পাঁচপাণ্ডবে মহাভারতীয় চা খাই, গল্প করি, হাসি, কথায় কথায় টপিক পোস্টাই, একজনের কথায় আরেকজন অহরহ অন্যকথার বামহাতও ঢুকাই, আর চা খাই, আর গল্প করি, আর চা খাই। একটু পরপরই সিমনানন্দ মনে আনন্দ নিয়া টপিক-বিরতি দেয় কয়েক মুহূর্তের জন্য, শুধু "চা খাইবেন?" বাঁশিটা বাজায়া! মহাভারত, উপেন্দ্রকিশোর রায় চৌধুরী, সচলসমাজ, ছফা, সুলতান, নাস্তিক, উচ্চমাধ্যমিক জুওলোজি বই, 'চন্দ্রা' নামক মিস-লিডিং হিজবুত-তাহ্রির মহিলা, রাইয়ানের ইয়াহু চ্যাট, তারেকের চিটাগং স্কুল-কলেজ, আমাদের অন্য চারজনের নটরডেম কলেজ, টেরেন্স পিনেরো, ঢাকা ইউনিভার্সিটি, বুয়েট, রশীদ হল, বৃত্তাল্পনা- কোত্থেকে যে কোন্ কথা, কতো কথা, কথকতা, ... ঘড়িতে যেন সময় আর বাজে না। সব ঘড়ি ভালো।
.............................................
পৌরাণিক মূলা!
হ্যাট্রিক ছিনতাইয়ের পরে আমি সিয়েঞ্জি-তে উঠি না পারতে, একা তো না-ই। মনে খালি কু-ডাক ডাকে! তবু, আড্ডা শেষ ক'রে সেই বেশ ভালো (এবং বেশি!) রাতে তারেক আর সুহান-রে বুক ভরা ঈর্ষা দিতে দিতে আমি রাইয়ান আর সিমন যখন একই লাইনে তিনজন বইল্যা অবিকল্প সিয়েঞ্জি-তে উঠলাম, প্রথম সময়টা আমার ভালোই যাইতেছিল, আড্ডার পাদটীকা থেকে নতুন আড্ডাও শুরু হয়ে গেছিল আবার যথারীতি, আর, সিয়েঞ্জি'র পুরা আসন দখল ক'রে যেহেতু তিনজন ছিলাম, আমার মাথায় কোনো কুচিন্তা আসে নাই। কিন্তু বনানীতে ঢুকে সিমন-রে এবং পরে ডিওএইচএস দিয়ে রাইয়ান-রেও নামায়া বাইরাইতে সিয়েঞ্জি যখন শ্যাঁওড়া'র আঁধার পার হয়, আমার বুকে তখন ত্যাওড়া তালে ঢিপঢিপ বাজে। তার মধ্যে আবার আমি বুদ্ধি ক'রে (এই বুদ্ধি গতবারও করছিলাম, কোনো কাজেই আসেনাই!) এক সাইডে বসছি ব'লে সিয়েঞ্জিওয়ালা আমারে কয়- “মাঝখানে বসেন”। আমি ভিতরে 'ধক' করি, আর শব্দ ক'রে কই- "না"। সে আমারে বোঝায় মাঝখানে ক্যান্ বসতে হইবো, তার গাড়ি ঠিকমতো চলতে পারবো, তাড়াতাড়ি চালাইলেও কান্নি খাইবো না, আর আমি তারে কই- ক্যান্ আমি মাঝখানে বসমু না। আমি চাই নাই তারে আপন ক'রে, কিন্তু সে আমারে ইয়ার-দোস্ত বানায়া ফেললো। পরিবারের, পাঁচবোনের আলাপ করে, খাজুইরা প্যানপ্যান যত্তোসব! আমার কী এইসবের মন আছে তখন?!
এমনকি রেলগেট পার হইয়া বড় সড়কে উইঠ্যা সে দেখি (শুনিও) সুরা-কালাম পড়া শুরু করছে! এই প্রথম খেয়াল করলাম- হালায় তো দুই-বিচিওয়ালা খেজুর একটা! তার থোতায় ছোট্ট দাড়ি আছে এক গোছা, এমনকি মাথায় একটা ভোতা টুপিও! হাইওয়ের হাওয়ায় সিয়েঞ্জির গতি যতো বাড়ে, তার চেয়েও দ্বিগুণ বাড়তে থাকে সুরা-কালামের গতি আর জোশ। আমি পুরা মামু হইয়া চিন্তা করি- আরেস্সালা, এইটা কি ছিনতাইকারীর চেয়েও বড় মামা নাকি?! ইসলামী জঙ্গি গ্রুপের আত্নঘাতী কর্মী না তো আবার, যে একটু পরে সিয়েঞ্জির ভিতরে একটা বোমা ফুটায়া আমারে নিয়া সহমরণে যাবে! আমার বুকের ধুকধুক আসোলেই বাড়ে, ফাইজলামি না। এইরকম ঘটলেই ওইরকম ঘটবে, তেমন না। কিন্তু, ঘটে তো, যখন ঘটে তখন এইরকম কাছাকাছি কিছুই নিশ্চয়ই ঘটে। নিজেরে তবু বুঝাই- এই কাম করলে তো মামু আরো আগেই করতে পারতো, যখন সওয়ারি আমরা তিনজন ছিলাম, তাইলে তো তার আত্নঘাতের সাফল্য আরো বেশি হইতো! কী জানি! হইতেও তো পারে- কোনো কারণে আমারেই তার পছন্দ হইছে এই সহ-শাহাদতবরণের লেইগ্যা। মা-বাপের কথা ঠিকঠাক মনে হয় না। নাস্তিকের তো কোনো কাউন্টার-সুরা-কালামও নাই যে সেইগুলা পইড়া একটা বিকল্প ভরসা কামাবো!
(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০৮-২৮ ১৯:১০)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন