ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] শো, ময়না!

কতো কাল আমি ভোর দেখি না!
কতো কাল কাকের ভোরে
ওরকম আর ডাক শুনি না!
সন্ধে তবু পথে পড়ে মাঝে-সাঝে,
রাতের ঘন মালার ঘেরে, ঘোরে,
ভুলে গেছি গোনা-
কতো যুগ যুগ আমি আর ভোর দেখি না!
আঁধারের রতি শেষে
যে-ক্ষণে পালায় রাত ধীরে চোর-পায়ে;
জেগে যদি থাকি-ও,
ঘুমের চেয়ে বেশি করে
টেনে রাখে অঘুমও,
কী ঘোর বেঘোরে!
মুখস্থ চোখস্থ একই সেই পুরোনো দৃশ্যাবলি
একঘেয়ে একগুঁয়ে-
ঘটতে থাকে, ঘাঁটতে থাকে
দিনরাত, রাতদিন-
কেউ, কিছু, মরতেই থাকে;
আর, কেউ শুধু মারতেই থাকে
খুন কিংবা খুনী হওয়ার খেলা, জানি-
হাহাকারে, হাহাহা-তে,
চলছে যেমন, চলবেও
নগরীর এ অট্টরোল আর হট্টগোল
থামার বুঝি কথা নাই রে ময়না!
কোনো ঘর আজ খালিটি নাই,
তোর-আমার এই ছোট্ট খাঁচা ছাড়া
আয় রে ময়না,
ঘুমা আমার বিজন বুকের খুবটি পাশে
দেখি আমি তোর ঘুমের ওই নিবিড় মুখই
শো; কেন না-
ভোর আমাদের দেখা হবে না!

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০১০-০৬-১৪ ০৫:৩৪)

২টি মন্তব্য:

নুশেরা তাজরীন বলেছেন...

কী অদ্ভুত, কবিতাটা পড়ে মনে হলো আমিও যেন কতোকাল ভোর দেখি না! অথচ তা নয় :)

মুখস্থ-চোখস্থ, একগুঁয়ে-একঘেঁয়ে, অট্টরোল-হট্টগোল, ঘটতে-ঘাঁটতে--- দারুণ লাগলো!

সাইফুল আকবর খান বলেছেন...

আচ্ছা! একটা রেজোন্যান্স সৃষ্টি করতে পেরেছে তবে লাইনগুলো! সাফল্য মনে করছি এটাকে কবিতার হিসেবে। তবে, এ কবিতাটা লিখেছিলাম সত্যি সত্যি ভীষণ দমবন্ধ একটা কষ্টের পরিস্থিতিতে, ব্লগান্তরের বিষ-হাওয়ার কালে। একসময়কার নিবিড় আপন এই অভিজ্ঞতার স্মৃতিও আজ যেন অস্পৃশ্য অবান্তর! :-(
অনেক ঋণী হই আপা, বারবার আপনার সুন্দর সুহৃদ মন্তব্যে। এই লোন-এর সিস্টেম তো মনে হয় চলতেই থাকবে। চলুক! :-)