ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

মঙ্গলবার, ১৪ জুন, ২০১১

সুখী হ'তে চাই

আপনার আয়ু আমি পার করে এসেছি, প্রিয় আবুল হাসান! বেহুদা শুয়ে শ্বাস নিচ্ছি আপনার ফুল ফুটানো দমকা জীবনের চেয়ে বেশ বেশিকাল। আপনার শেখানো সুরেই তবু বৃক্ষের কাছে আজ অব্দি ক্ষমা-ই চেয়ে আসছি কেবল। সত্য পাখি বসাতে কিংবা সচ্চরিত্র ফুল ফুটাতে আমি পারি না, কলম খুলে বিষপিঁপড়ার পাল ছাড়া আসোলেই আর কিচ্ছুটি বেরোয় না।

আমি যে সচরাচর লিখি না, সে নিয়ে আমার সদয় সানুরাগ পাঠক কজন শোকর গোজার করতেই পারেন যার যার প্রতিপালক বা প্রকৃতির কাছে। কেন না, দিনের মধ্যে দুতিনবার আমার ভীষণ অসুস্থ অস্বাভাবিক মন আর মাথা মিলে যে পরিমাণ রক্তবমি করে, তা হজম করাটাও মানুষিক কর্ম নয় বটে!

রবিবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১১

[পূর্বপ্রকাশিত] কলজে-তে যেই কলেজেরই এক ছাপ নিয়ে দিই পথপাড়ি

"কোলকাতার মেয়েরা, বাংলাদেশের ছেলেদেরকে খুব পছন্দ করে! তুমি গেলে দেখবে-- ওরা কয়েকজন হেঁটে যাওয়ার সময়, এক সখীর গায়ে ঠেস দিয়ে অন্য সখী বলবে-- 'দ্যাখ্ দ্যাখ্, বাংলাদেশের ছেলে, বাঘের বাচ্চা একটা!' আর, যদি শোনে-- তুমি নটর ডেম কলেজের ছাত্র, তাহ'লে তো তোমার সামনে বেচ্যায়েন হয়ে চিত হয়ে শুয়ে পড়বে!"

শনিবার, ৯ এপ্রিল, ২০১১

[পূর্বপ্রকাশিত] জীবন: প্রবাহ-প্যাঁচ-পয়জার



একেকটা দিন আসে অনেক প্রবল প্রখর আওয়াজ দিয়ে-- শয্যাপাশের জান্লা দিয়ে আততায়ী আলো ছুঁড়ে, সেলফোনের তীক্ষ্ণ নাছোড় জাগরঘণ্টা বাজিয়ে। কিন্তু জীবন থেকে আরো চব্বিশ ঘণ্টাটি কিংবা ক্যালেন্ডার থেকে আরেক তারিখটা মুছে যাওয়ার সময়, রাতটা একটু কিছু ব'লে পর্যন্ত যায় না। চিত-কাতের মধ্যেই জানি না কখন অচেতন হই দরকারি আপদের অভ্যস্ত ভরসায়-- দিন এসে ঠিকই আবার টেনে-হিঁচড়ে উঠিয়ে নেবে কাজের পথে। "বয়স বাড়ে, আমি বাড়ি না"র পুরোনো ফাঁপরেই হাতড়ে চলা, চালিত হওয়া না-দেখা ইশারায় কিংবা প্রকৃতির মনোহীন অমোঘ অনির্দিষ্টতায়।

বুধবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১১

[মহরতপর্ব] পৃথিবীতে আমার কেবল একজন পাঠক থাকলেও আমি তাতে দায়গ্রস্ত

১.
অ্যাতো ব্যস্ততার অভ্যেসেও যে মানুষ এমন অলস হতে পারে, তার প্রমাণ মিলবে আমার কাছে। বাধ্যতামূলক (জীবিকার) কাজের বাইরে আজকাল যেটুকু সময়ও বা জোটে, সেই পুরোটাই কীভাবে কতোটা নিকর্মাভাবে কাটিয়ে ফতুর হয়ে বা থেকে যাওয়া যায় আগে-পরের বাকি সময়গুলোর ক্লান্তির দোহাই দিয়ে, কেউ চাইলে সেটা আমাকে দেখলেই সবচে’ ভালো শিখতে পারবে। এজন্যই, কর্ম আর ক্লান্তির রক্তসম্পর্ক যতোই প্রাচীন পরিচিত আর স্বীকৃত হোক না কেন, আমাকে যতোটুকু কর্মী দেখায়, তার চেয়েও বেশি দেখায় ক্লান্ত।