আপনার আয়ু আমি পার করে এসেছি, প্রিয় আবুল হাসান! বেহুদা শুয়ে শ্বাস নিচ্ছি আপনার ফুল ফুটানো দমকা জীবনের চেয়ে বেশ বেশিকাল। আপনার শেখানো সুরেই তবু বৃক্ষের কাছে আজ অব্দি ক্ষমা-ই চেয়ে আসছি কেবল। সত্য পাখি বসাতে কিংবা সচ্চরিত্র ফুল ফুটাতে আমি পারি না, কলম খুলে বিষপিঁপড়ার পাল ছাড়া আসোলেই আর কিচ্ছুটি বেরোয় না।
আমি যে সচরাচর লিখি না, সে নিয়ে আমার সদয় সানুরাগ পাঠক ক’জন শোকর গোজার করতেই পারেন যার যার প্রতিপালক বা প্রকৃতির কাছে। কেন না, দিনের মধ্যে দু’তিনবার আমার ভীষণ অসুস্থ অস্বাভাবিক মন আর মাথা মিলে যে পরিমাণ রক্তবমি করে, তা হজম করাটাও মানুষিক কর্ম নয় বটে!