ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] আরেক প্রবাসী/বিশ্বায়িত সচলের আজ জন্মদিন!

নিজের "গ্লোবালাইজেশন" নামক দ্বিপদ কবিতায় সে লিখেছিল-
যদিও বাংলাদেশে হয় তার হিসু
মেড ইন ফ্রান্স তার টয়লেট টিস্যু!

তার অভিষেক বইয়ের ফ্ল্যাপ-জয়ঢাকে বিশ্বজিত্ ঘোষ স্যার (বাংলা বিভাগ, ঢা.বি.) প্রথম বাক্যেই তাকে প্রধানত চিহ্নিত করেছিলেন বিশ্বায়ন যুগের কবি হিসেবেঢা.বি.' ইংরেজিশিক্ষিত [স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর] এই ভদ্রলোকের বিচরণ বিশ্বসাহিত্যে নিতান্ত কম নয়- সেটা এখানকার অনেকেই জানেনব্লগে দিনকেদিন তার করা বিদেশী কবিতার অনুবাদে তার ওরকম একটা ব্র্যান্ড ইমেজও পাওয়া গ্যাছে বেশ আগেইগত একুশে বইমেলা'য় বের হওয়া তার দ্বিতীয় কবিতা-বইটিও "অনুবাদ কবিতা"হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, আর না-ধ'রে থাকলে এখনই ধরেন, সেই "কষ্টালজিয়া"র কবি মূর্তালা রামাত'র কথাই বলা হচ্ছেবিশ্বায়ন খালি তার কাব্যচর্চায় না, এখন বসবাসেও উচ্চতর শিক্ষার উদ্দেশ্যে (এবং আমার চোখে উচ্চজীবনের জন্যও) নিজেই এখন প্রবাসী (বা আমার চোখে বিশ্বায়িত) হয়েছে সে। "মেড-ইন"-এর সময়ও পেরিয়ে সে এখন সশরীরে, এমনকি সস্ত্রীশরীরে অস্ট্রেলিয়া'র সিডনি-তে অবস্থান করছে, আর ব্যস্ততায় একটু একটু ক'রে ডোজ কমিয়ে আমাদেরকে ভুলে যাচ্ছে
[আর, আমার ব্যক্তি-কপাল-টা তো আরো খারাপ, মূর্তালা বেশ কয়বার আমাকে ওই দূরদেশ থেকে ফোন করেছে এর মধ্যে, কিন্তু একবারও ঠিকঠাক কথা বলতে পারিনি, কারণ ওই প্রতিটা সময় আমি অফিসে ভয়ানক লাস্ট-মিনিট-হারি'র উপরে ছিলাম!]
সারাদিন কাজের অনেক জাল-ভেজালে আটকে ছিলামতার মানে তো এই না, যে- আমাদের এই কিছুদিনের প্রাক্তন সহকর্মীটার জন্য তার জন্মদিনে এইটুকু স্মরণকর্ম করতে পারার চেষ্টাটা একবার জোরেশোরে না-ক'রেই ছেড়ে দেবো! হ্যাঁ, আমার আর পান্থ'র ব্যক্তিগত সহকর্মী ছিল সে, এক অফিসের একই ডিপার্টমেন্টে, বেশ কিছুকালমহাকালের হিসেবে সেই কিছুকাল যতো 'কিছু'ই হোক না কেন, সেটা বড়, এবং সেই কিছুও আমাদের পিছু ছাড়বে না সহজে
নামের মানে জিজ্ঞেস করলে সুন্দর ক'রে তার স্বভাবের স্থির ধৈর্যটা নিয়েই বুঝিয়ে বলে- "সুন্দরের প্রতিষ্ঠাতা"এবং এই বুঝানোর বেলায়ও তার স্বভাবের অন্য বড় দিকটিও মুখে ঝুলে থাকে সৌম্যকান্তি একটা সুন্দর এবং প্রতিষ্ঠিত সাইনবোর্ড হয়ে- সেটা হচ্ছে তার মার্কামারা মিষ্টি হাসিআপনারা যারা আমার এই ভাইটিকে সামনাসামনি দেখেছেন, তাদের অনেকের কাছেই নিশ্চয়ই তার নাম-স্মরণেই সিগনেচার-পর্যায়ের স্মরণীয় ছাপ তার ওই হাসি
সাহিত্য, রাজনীতি, দুর্নীতি, ধর্ম, নামাজ, সমাজ, মেদ, রাগ, স্ত্রী-পরিবার, দেশের ক্রিকেট এবং এমন আরো কমপক্ষে ছাপ্পান্নটা বিষয়ে সমান আগ্রহী আর সচেতন ব্যক্তি, আমাদের অতিপ্রিয়মুখ সচল-ব্লগার (সম্প্রতি-সাময়িক-অনিয়মিত হ'লেও) মূর্তালা রামাত-কে একটা বিশেষ দিনের বিশেষ বাণী পৌঁছে দিতে চাই এই উঠানের সকলের হাততালি-সমেত
বেটার লে', দ্যান নেভার,
তাইলে কই কী, জিগায় আবার?!
হ্যাঁ ভাই, আজ ৩১ অগাস্ট মূর্তালা রামাতের জন্মদিনডেস্কের সামনে কোয়ান্টাম-এর "রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন" স্টিকার লাগিয়ে রাখা, সবসময় মেডিটেশনের 'সম'-ভাবে থাকা, অসম্ভব মিষ্টভাষী মিষ্টহাসী (দ্বিতীয় শব্দটা বানালাম এই মাত্র ), মুখ-খারাপ-করতে-না-জানা-বিশিষ্ট-ভদ্র-কবি মূর্তালা রামাত-কে আমার, পান্থ'র এবং সচলায়তনের সবার পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিন!
ভালো থাকো, আর বহুকাল বেঁচে থাকো মূর্তালা, সত্যিকার অর্থে, শরীরে মননে, কর্মে মর্মে, সুখে আনন্দে, শুদ্ধতম ঋদ্ধতায়

[পাপড়ির কণ্ঠস্বর পাড়ভাঙা আগন্তুক হ'লে
বৈকালিক ভ্রমণ শেষে
আন্তঃনগর পথগুলো বেয়ারিং চিঠি হয়ে যায়
- কবিতা: উড়ুক্কু / গ্রন্থ: কষ্টালজিয়া (২০০৮) / কবি: মূর্তালা রামাত।]

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০৮-৩১ ১৫:৫৪)

কোন মন্তব্য নেই: