- ১.
যতোসব আজাইরা লুকজন! যতোসব বাজাইরা আড্ডা! আর সেই নিয়া আবার বাজাইরা এক আজাইরা ব্লগারের খাজুইরা এই পুস্ট! প্রথম লাইনে আবার সাজাইন্যা ঢং কইরা ডিসক্লেইমারও মারে!
যতোসব আজাইরা লুকজন! যতোসব বাজাইরা আড্ডা! আর সেই নিয়া আবার বাজাইরা এক আজাইরা ব্লগারের খাজুইরা এই পুস্ট! প্রথম লাইনে আবার সাজাইন্যা ঢং কইরা ডিসক্লেইমারও মারে!
০.
সবাই হয়তো এখনও খবর পায়া সারেন নাই- ঢাকা শহরে এখন ব্যাপক বিদ্রোহ চলতেছে, টানা, উপর্যুপরি, দিনের পর দিন। আরো বেশ কিছুদিন চলবে। কার্জন হলের বগলের ভেতর সায়েন্স ক্যাফে'র সামনে তো ব্যাপক হারে হইতেছে প্রতি সন্ধ্যায়! এমনকি মাঝেমধ্যে ঢাকার আশপাশে অন্যান্য দুয়েক জায়গায়ও নাকি একআধটু ছড়ায়া পড়তেছে সেই বিদ্রোহ! কারণ আর কিছু না, স্বয়ং দ্রোহী এখন বাংলাদেশের ঢাকা শহরে।
সবাই হয়তো এখনও খবর পায়া সারেন নাই- ঢাকা শহরে এখন ব্যাপক বিদ্রোহ চলতেছে, টানা, উপর্যুপরি, দিনের পর দিন। আরো বেশ কিছুদিন চলবে। কার্জন হলের বগলের ভেতর সায়েন্স ক্যাফে'র সামনে তো ব্যাপক হারে হইতেছে প্রতি সন্ধ্যায়! এমনকি মাঝেমধ্যে ঢাকার আশপাশে অন্যান্য দুয়েক জায়গায়ও নাকি একআধটু ছড়ায়া পড়তেছে সেই বিদ্রোহ! কারণ আর কিছু না, স্বয়ং দ্রোহী এখন বাংলাদেশের ঢাকা শহরে।
১.
সেই বিদ্রোহে বহুদিন পরে পায়া বসলো এমনকি নজু ভাইরে! বহুকাল পরে ভরবিকালে নজু ভাই ফোন কইরা ইনভার্সিটির দিকে যাইবার কয়। শুরুতে বিত্তান্ত না সাইরাই খালি জিগায় যামু কি না। চোখের সামনে না হওয়ার সুযোগ নিয়া ভাব নিয়া দরকারী ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসাবাদ কইরা প্যানা করলে পরের ত্যানা প্যাঁচানিতে অবশ্য বোঝা গ্যালো- আর কিছু না, ওই যে আজাইরা সাইবার-সামাজিক লুকগুলার অনুত্পাদনশীল আড্ডা! এক্কেবারে যত্তোসব! তা-ও যদি একটু খাইবার পাইবার বন্দোবস্ত থাকতো, সেইটাও তো একটা কিছু আনন্দের বিষয় হইতে পারতো! ভাবছিলাম বুঝি নরমালের বদলে আজকে ফর্মাল আড্ডা হবে! কোনো রেস্তোরা টেস্তোরায় বসা হবে হয়তো ওইখান থেইক্যা গিয়া। হয়তো বা বালিকা-শ্যালিকা কি মালিকা প্রজাতিরও কেউ থাকতে পারে। কিন্তু কীসের কী? কাহিনী ও-ই! ছোটবেলায় মোহামেডানের অবুঝ ফালপাড়ন্তি সাপোর্টার ছিলাম সময় যেমন আমি খেলা দেখলে জীবনেও মোহামেডান জিততো না, তেমন এই পর্যন্ত মোটামুটি চিরন্তন সূর্যসত্য আরেকটা পর্যবেক্ষণ হইলো- আড্ডা সে যেইখানেই হোক, আমি আড্ডায় গেলে ফি-আড্ডায় শুধু মেইলট্রেইনের দৈর্ঘ্যে সামনে-পিছনে মেইল মেইল আর মেইল। ভুলেও কোনো ফিমেইলের দেখা নাই রে, ... ;-(
সেই বিদ্রোহে বহুদিন পরে পায়া বসলো এমনকি নজু ভাইরে! বহুকাল পরে ভরবিকালে নজু ভাই ফোন কইরা ইনভার্সিটির দিকে যাইবার কয়। শুরুতে বিত্তান্ত না সাইরাই খালি জিগায় যামু কি না। চোখের সামনে না হওয়ার সুযোগ নিয়া ভাব নিয়া দরকারী ভঙ্গিতে জিজ্ঞাসাবাদ কইরা প্যানা করলে পরের ত্যানা প্যাঁচানিতে অবশ্য বোঝা গ্যালো- আর কিছু না, ওই যে আজাইরা সাইবার-সামাজিক লুকগুলার অনুত্পাদনশীল আড্ডা! এক্কেবারে যত্তোসব! তা-ও যদি একটু খাইবার পাইবার বন্দোবস্ত থাকতো, সেইটাও তো একটা কিছু আনন্দের বিষয় হইতে পারতো! ভাবছিলাম বুঝি নরমালের বদলে আজকে ফর্মাল আড্ডা হবে! কোনো রেস্তোরা টেস্তোরায় বসা হবে হয়তো ওইখান থেইক্যা গিয়া। হয়তো বা বালিকা-শ্যালিকা কি মালিকা প্রজাতিরও কেউ থাকতে পারে। কিন্তু কীসের কী? কাহিনী ও-ই! ছোটবেলায় মোহামেডানের অবুঝ ফালপাড়ন্তি সাপোর্টার ছিলাম সময় যেমন আমি খেলা দেখলে জীবনেও মোহামেডান জিততো না, তেমন এই পর্যন্ত মোটামুটি চিরন্তন সূর্যসত্য আরেকটা পর্যবেক্ষণ হইলো- আড্ডা সে যেইখানেই হোক, আমি আড্ডায় গেলে ফি-আড্ডায় শুধু মেইলট্রেইনের দৈর্ঘ্যে সামনে-পিছনে মেইল মেইল আর মেইল। ভুলেও কোনো ফিমেইলের দেখা নাই রে, ... ;-(
২.
এইবারের চুলটা কাটানির পরে নজু ভাই আগের চে' আরো মাসুম বাচ্চা হইয়া গ্যাছে দেখতে! সেইজন্যেই বুঝি-বা নিজেও জরুরি মনে কইরা পরিবার-পরিষদের বাকি দুই 'ন'রে ছাড়াই আসছে! মিডিয়া কম ক্রিয়েটিভ বেশি পার্টি আমি আর পান্থ গিয়া আজিজের সামনে থেইকাও একবার শেষ একটা ফোন কইরা নিশ্চিত হইয়া আর এক মিনিট দূরের কঞ্চিপায় পৌঁছায়াই আড্ডারে চিনতে পারতেছিলাম না, মূলত নজু ভাইয়ের এই আমূল তুমুল অধঃপতনের কারণে! সুহান আমার দিকে ঘুইরা না দাঁড়ানি পর্যন্ত আমি বুঝতেছিলাম ধুর ওইটা নজু ভাই না, আর এইটা আমাগো আড্ডাও হৈতারেনা! আর, দুর্নীতিবাজ মেম্বর হৈয়াও দ্বিতীয় সাক্ষাতে দ্রোহী অবশ্য চিনলো আমারেও। যাক, বাম থেইকা ডানে সইরা গ্যাছে যদিও আড্ডার হৃদপিণ্ড, তবু নিশ্চিত যে হওয়া গ্যালো- ছোট্ট এই জনতাজটলাপিণ্ডটাই আমাগো আড্ডা, কঞ্চিপার আড্ডা, মাশরুমের গন্ধ নাই নাম আছে ধরনের নিজস্ব মাশরুমাড্ডা!
এইবারের চুলটা কাটানির পরে নজু ভাই আগের চে' আরো মাসুম বাচ্চা হইয়া গ্যাছে দেখতে! সেইজন্যেই বুঝি-বা নিজেও জরুরি মনে কইরা পরিবার-পরিষদের বাকি দুই 'ন'রে ছাড়াই আসছে! মিডিয়া কম ক্রিয়েটিভ বেশি পার্টি আমি আর পান্থ গিয়া আজিজের সামনে থেইকাও একবার শেষ একটা ফোন কইরা নিশ্চিত হইয়া আর এক মিনিট দূরের কঞ্চিপায় পৌঁছায়াই আড্ডারে চিনতে পারতেছিলাম না, মূলত নজু ভাইয়ের এই আমূল তুমুল অধঃপতনের কারণে! সুহান আমার দিকে ঘুইরা না দাঁড়ানি পর্যন্ত আমি বুঝতেছিলাম ধুর ওইটা নজু ভাই না, আর এইটা আমাগো আড্ডাও হৈতারেনা! আর, দুর্নীতিবাজ মেম্বর হৈয়াও দ্বিতীয় সাক্ষাতে দ্রোহী অবশ্য চিনলো আমারেও। যাক, বাম থেইকা ডানে সইরা গ্যাছে যদিও আড্ডার হৃদপিণ্ড, তবু নিশ্চিত যে হওয়া গ্যালো- ছোট্ট এই জনতাজটলাপিণ্ডটাই আমাগো আড্ডা, কঞ্চিপার আড্ডা, মাশরুমের গন্ধ নাই নাম আছে ধরনের নিজস্ব মাশরুমাড্ডা!
৩.
এই প্রথম দেখলাম- মাশরুমাড্ডা শুরু হইয়া গ্যাছে কিন্তু সবচে' বড় আড্ডাপোকাটাই সেইখানে উপস্থিত নাই! হ, শাহেনশাহ্'র কথাই কই। রাইয়ানও অবশ্য আসে নাই শেষ পর্যন্তও। কী জানি- ফোন বন্ধ কইরা ভিটামিন সি-তে চইড়া সে পুরা ঢাকা শহরই চক্কর দিলো কি না আজকে! সবজান্তা, ষষ্ঠপাণ্ডবদা', নজরুল ভাই, সুহান, নিবিড়, অনার্য (সঙ্গীত), দ্রোহী, পান্থ আর সাইফুলে ঢ'লে ঢ'লে চলতে থাকলো পূর্ণোত্থিত (স্ট্যান্ডিং) আড্ডা। অন্য কিছু স্থানীয় সিংহবাঘ সেইখানে চা খাইতেছিল বিড়ি ফুঁকতেছিল বইলা আড্ডার সিংহভাগ সভ্যেরই বসার জায়গা পাইতে অনেক সময় লাগছে। তবে, সিনিয়র-শোভন দুয়েকটা খালি জায়গা থাকলেও পাণ্ডবদা' ঘোষণা দিছিলেন "আমি বসি না", যদিও খুব বেশিক্ষণ দেরি হয় নাই তাঁর বসতে এবং তারও একটু পরে আমারেও (আবেদনহীন পশ্চাদ্দেশ দেইখা বিরক্ত হইয়াই বুঝিবা!) বসার জন্য যথেষ্ট ধমকের সাথে হুকুম করতে। সম্প্রতি ভুঁড়িবিদ্রোহী আর আম্রিকাবিদ্বেষী হইয়া উঠা মেম্বর সাবের দ্যাখা গ্যালো কইলজাটা যতো বড়, গল্পের থইলাটাও তেমনই ফোলাঠাঁসা। নতুন-পুরানা সাইবার-পাপীদের আমলনামা, জ্ঞানীগুণী মালতামামি, অনুপস্থিত মৃত্যুপথযাত্রী রহিম বাদশা'র নামে সম্প্রতি ছড়ানো আজব গজব স্ক্যান্ডাল, মডেল প্রভা, ফেসবুকে বন্ধু পরিচয় নিয়া ছিনিমিনি, দূরের কিংবা কাছের মানুষজনের লেখাপত্র, হিউমার-টিউমার-রিউমার- সবকিছু নিয়াই আলাপ জইমাই উঠে আস্তে আস্তে শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম গপ্প আর চা-বিড়ি'র সিঁড়ি বাইতে বাইতে। কতোকিছু নিয়া কতো আজাইরা বাজাইরা কথা হয়, পঁচানি হয়, প্যাঁচানি হয়, আমার মতো ভালু লুকরে নিয়াও জায়গায় খাড়ায়া স্ক্যান্ডাল হয়! বিজ্ঞাপন-জগতে কামলা খাটি বইলা, হায়রে এই পদাধিকারদুর্বলতায় পাইয়া বইসা আমারে নিয়াও এমন হারাম কথাবার্তা! ভদ্রলুক হইলে কতো সমস্যা! নিচু গলাবাজিতে কাউরেই বুঝাইতে পারি না, যে- কাছা বাইন্ধ্যা খালি খাঁচা খাঁচা কাজই করতে হয় দিনে রাইতে, কামের দেখা কস্মিনকালেও নাই (কেনু কেনু কেনু???)!!!
এই প্রথম দেখলাম- মাশরুমাড্ডা শুরু হইয়া গ্যাছে কিন্তু সবচে' বড় আড্ডাপোকাটাই সেইখানে উপস্থিত নাই! হ, শাহেনশাহ্'র কথাই কই। রাইয়ানও অবশ্য আসে নাই শেষ পর্যন্তও। কী জানি- ফোন বন্ধ কইরা ভিটামিন সি-তে চইড়া সে পুরা ঢাকা শহরই চক্কর দিলো কি না আজকে! সবজান্তা, ষষ্ঠপাণ্ডবদা', নজরুল ভাই, সুহান, নিবিড়, অনার্য (সঙ্গীত), দ্রোহী, পান্থ আর সাইফুলে ঢ'লে ঢ'লে চলতে থাকলো পূর্ণোত্থিত (স্ট্যান্ডিং) আড্ডা। অন্য কিছু স্থানীয় সিংহবাঘ সেইখানে চা খাইতেছিল বিড়ি ফুঁকতেছিল বইলা আড্ডার সিংহভাগ সভ্যেরই বসার জায়গা পাইতে অনেক সময় লাগছে। তবে, সিনিয়র-শোভন দুয়েকটা খালি জায়গা থাকলেও পাণ্ডবদা' ঘোষণা দিছিলেন "আমি বসি না", যদিও খুব বেশিক্ষণ দেরি হয় নাই তাঁর বসতে এবং তারও একটু পরে আমারেও (আবেদনহীন পশ্চাদ্দেশ দেইখা বিরক্ত হইয়াই বুঝিবা!) বসার জন্য যথেষ্ট ধমকের সাথে হুকুম করতে। সম্প্রতি ভুঁড়িবিদ্রোহী আর আম্রিকাবিদ্বেষী হইয়া উঠা মেম্বর সাবের দ্যাখা গ্যালো কইলজাটা যতো বড়, গল্পের থইলাটাও তেমনই ফোলাঠাঁসা। নতুন-পুরানা সাইবার-পাপীদের আমলনামা, জ্ঞানীগুণী মালতামামি, অনুপস্থিত মৃত্যুপথযাত্রী রহিম বাদশা'র নামে সম্প্রতি ছড়ানো আজব গজব স্ক্যান্ডাল, মডেল প্রভা, ফেসবুকে বন্ধু পরিচয় নিয়া ছিনিমিনি, দূরের কিংবা কাছের মানুষজনের লেখাপত্র, হিউমার-টিউমার-রিউমার- সবকিছু নিয়াই আলাপ জইমাই উঠে আস্তে আস্তে শীতের সন্ধ্যায় গরম গরম গপ্প আর চা-বিড়ি'র সিঁড়ি বাইতে বাইতে। কতোকিছু নিয়া কতো আজাইরা বাজাইরা কথা হয়, পঁচানি হয়, প্যাঁচানি হয়, আমার মতো ভালু লুকরে নিয়াও জায়গায় খাড়ায়া স্ক্যান্ডাল হয়! বিজ্ঞাপন-জগতে কামলা খাটি বইলা, হায়রে এই পদাধিকারদুর্বলতায় পাইয়া বইসা আমারে নিয়াও এমন হারাম কথাবার্তা! ভদ্রলুক হইলে কতো সমস্যা! নিচু গলাবাজিতে কাউরেই বুঝাইতে পারি না, যে- কাছা বাইন্ধ্যা খালি খাঁচা খাঁচা কাজই করতে হয় দিনে রাইতে, কামের দেখা কস্মিনকালেও নাই (কেনু কেনু কেনু???)!!!
৪.
মক্কার লুক টুটুল ভাই জবর দেরিতে আইসা প্রথমেই তাঁর শুদ্ধ স্বর উঠাইলেন- বামপন্থী আড্ডা আজকে জায়গা বদল কইরা খালারে ছাইড়া আপা'র কাছে আইসা ডানপন্থী হইলো কেনু? জনসংখ্যাধিক্যের অজুহাত ছাড়া আর কোনো শেষ সদুত্তর কেউই দিতে পারলো না তাঁর এই প্রথম জিজ্ঞাসার। ব্যাচ-বয়স হিসাব হইতেছিল দেখা-অদেখা দামাল-সামার বালকগুলার। সশ্রূসজ্জিত ছোট্ট অনার্য ছেলেটা প্রথমবারের মতো আমার মুখের দিকে কার্টুন-টার্ন কইরা তাকাইলো, যখন শুনলো আমি '৯৬-এ উচ্চমাধ্যমিক পাশ দিছি। পান্থ'র বালকমূর্তিতে আর আমার তাজা-তরুণমূর্তিতে ঈর্ষান্বিত হইয়া, চার বছরের অভিজ্ঞ মরণোত্তর বিদ্রোহী সাব আরো ম্যালা আকথা কুকথা ছড়াইলো ভাসাইলো। এইগুলা ঝাতি সহ্য করবে না জানা কথা। কিন্তু, সবজান্তা'র উপ্রে আজকাল সব বৈঠকে এত বালিকা-কাহিনী কেনু চাপানি হয়, সেইটা সবজান্তাও জানে কি না সন্দেহ! এই প্রশ্ন আজকে অবশ্য আমিই প্রথম তুলি নাই। একটা মিস্টার কোয়েশ্চান আছে সচল-সমাজে। সত্যিকারের ভালু একটা ছেলে। নিবিড়। চ্রম শিশুমন! চূড়ান্ত কৌতূহলী! আড়াই বছর বয়সে সেই যে বাবারে এইতা ওইতা সবতা প্রশ্ন করা শুরু করছিল, তার সেই প্রশ্নবান এখনও থামে নাই। আমি আর সবজান্তা মিইল্যা আবিষ্কার করছি নিবিড়ের এই মহা-ভালু লক্ষণটা- সবসময় তার ইন্টারভিউ মোড অন! রেকর্ডের লাল নব-টাও সব সময় চাপাই তাকে তার। অমুকের বই কোন্ মার্কেটে পাওয়া যাবে? অমুক ব্লগারটা আসোলে কে, আপনি চিনেন? আপনার ফেসবুকের ছবিটা কোত্থেকে তোলা? যৌবনযাত্রায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে এক হওয়ার ডাকটাকে আপনি কীভাবে দ্যাখেন? সব টিনই তো মজবুত, কিন্তু গরুমার্কা এই কথা বইলা এত চলে ক্যামনে? একটা কোম্পানির ব্র্যান্ডিং আইডিয়ার জন্য আপনারা কয়দিন সময় ন্যান? পিচ কী? মাফলার আনছেন ক্যান? এইরকম চলতেই থাকে। খুব ভালু। সত্যিই ভালু। আমি সিন্সিয়ারলিই বলতেছি ভালু। এইজন্যই এই ভালু পুলাডারে বেশ পছন্দ। তো, যা বলতেছিলাম, স্ক্যান্ডালাপের মাঝখানে সঙ্গত কারণেই নিবিড়ই এই প্রশ্নটাও উঠাইলো- ওইসব নারীকাহিনী সব কেনু ইদানিং সবজান্তার ঘাড়ে গিয়া পড়ে! সবজান্তা জানে কি না জানা যায় না। ওইদিকে, শ্রীদেবী আর অড্রে'র প্রেমে চিরদিওয়ানা নির্মল হাসির কচি ছেলে সুহান হেপবার্নও অনেকই ভালু। কিন্তু, সুহানের উপ্রেও আসে নারী-জটিলতার হঠাত্ হঠাত্ একআধটু পানিছিটানি। সুহানের বয়স-জনিত সমস্যা আরেকটা আছেও। সাদাকালোতে যেকোনো মেয়ে দেখলেই তার ভালু লাগে!
মক্কার লুক টুটুল ভাই জবর দেরিতে আইসা প্রথমেই তাঁর শুদ্ধ স্বর উঠাইলেন- বামপন্থী আড্ডা আজকে জায়গা বদল কইরা খালারে ছাইড়া আপা'র কাছে আইসা ডানপন্থী হইলো কেনু? জনসংখ্যাধিক্যের অজুহাত ছাড়া আর কোনো শেষ সদুত্তর কেউই দিতে পারলো না তাঁর এই প্রথম জিজ্ঞাসার। ব্যাচ-বয়স হিসাব হইতেছিল দেখা-অদেখা দামাল-সামার বালকগুলার। সশ্রূসজ্জিত ছোট্ট অনার্য ছেলেটা প্রথমবারের মতো আমার মুখের দিকে কার্টুন-টার্ন কইরা তাকাইলো, যখন শুনলো আমি '৯৬-এ উচ্চমাধ্যমিক পাশ দিছি। পান্থ'র বালকমূর্তিতে আর আমার তাজা-তরুণমূর্তিতে ঈর্ষান্বিত হইয়া, চার বছরের অভিজ্ঞ মরণোত্তর বিদ্রোহী সাব আরো ম্যালা আকথা কুকথা ছড়াইলো ভাসাইলো। এইগুলা ঝাতি সহ্য করবে না জানা কথা। কিন্তু, সবজান্তা'র উপ্রে আজকাল সব বৈঠকে এত বালিকা-কাহিনী কেনু চাপানি হয়, সেইটা সবজান্তাও জানে কি না সন্দেহ! এই প্রশ্ন আজকে অবশ্য আমিই প্রথম তুলি নাই। একটা মিস্টার কোয়েশ্চান আছে সচল-সমাজে। সত্যিকারের ভালু একটা ছেলে। নিবিড়। চ্রম শিশুমন! চূড়ান্ত কৌতূহলী! আড়াই বছর বয়সে সেই যে বাবারে এইতা ওইতা সবতা প্রশ্ন করা শুরু করছিল, তার সেই প্রশ্নবান এখনও থামে নাই। আমি আর সবজান্তা মিইল্যা আবিষ্কার করছি নিবিড়ের এই মহা-ভালু লক্ষণটা- সবসময় তার ইন্টারভিউ মোড অন! রেকর্ডের লাল নব-টাও সব সময় চাপাই তাকে তার। অমুকের বই কোন্ মার্কেটে পাওয়া যাবে? অমুক ব্লগারটা আসোলে কে, আপনি চিনেন? আপনার ফেসবুকের ছবিটা কোত্থেকে তোলা? যৌবনযাত্রায় যুদ্ধাপরাধের বিচারের দাবিতে এক হওয়ার ডাকটাকে আপনি কীভাবে দ্যাখেন? সব টিনই তো মজবুত, কিন্তু গরুমার্কা এই কথা বইলা এত চলে ক্যামনে? একটা কোম্পানির ব্র্যান্ডিং আইডিয়ার জন্য আপনারা কয়দিন সময় ন্যান? পিচ কী? মাফলার আনছেন ক্যান? এইরকম চলতেই থাকে। খুব ভালু। সত্যিই ভালু। আমি সিন্সিয়ারলিই বলতেছি ভালু।
৫.
অফিস কইরা দেরি কইরা ওয়ারিড চেহারা নিয়া সিমন আইলো। আইসাই এইদিক ওইদিক থেইক্যা বারবার দ্রোহী-রে দ্যাখে সে- কোনোভাবে আলেকজান্ডার বো'র সাথে দ্রোহীর চেহারার কোনো মিল আছে কি না। আমি অবশ্য আগেই রিপোর্ট দিছিলাম ওরে, যে দ্রোহী ওইটা পুরাই একটা বোগাস বো তুলছে। পুলাপান আমার কথা কেনু জানি বিশ্বাস যায় না! ওহ্, ওসিরিস-ও আসছিল বেশ দেরিতে হইলেও। পুরা সময় সে অবশ্য আমার চে' নিরাপদ দূরত্বেই ছিল, তাই তারে এইখানেও ছাইড়া দিতে হইলো! আরো বহুকিছু ছাইড়া দিতে মজবুরও হই আমি এইরকম সমাজে গেলেটেলে। সবার এত এত সিরিয়াস আলাপ-আলোচনার মধ্যে চুপ কইরা আমি খালি শুনি আর শুনি। এরা কতোকিছু জানে, কতো কারে চেনে, কতো পড়ে, কতো দ্যাখে, কতো করে, ...! আমি একে একে একত্রিশটা চৈত্র পার কইরা ফালাইয়া খালি ভাবি- সময় তো সবই গ্যাছে, এখন আর কোনো কিছুই শুরু করার সময় আর আসোলেই নাই। মনে মনে ভাঁজি- “ইউ ক্যানট টিচ অ্যান ওল্ড ডগ অ্যা নিউ ট্রিক”! ঝুইলা যাওয়া কান আগায়া দেই খালি বারবার। বলি না তেমন কিছু। শুনি, শুনি আর শুনি।
অফিস কইরা দেরি কইরা ওয়ারিড চেহারা নিয়া সিমন আইলো। আইসাই এইদিক ওইদিক থেইক্যা বারবার দ্রোহী-রে দ্যাখে সে- কোনোভাবে আলেকজান্ডার বো'র সাথে দ্রোহীর চেহারার কোনো মিল আছে কি না। আমি অবশ্য আগেই রিপোর্ট দিছিলাম ওরে, যে দ্রোহী ওইটা পুরাই একটা বোগাস বো তুলছে। পুলাপান আমার কথা কেনু জানি বিশ্বাস যায় না! ওহ্, ওসিরিস-ও আসছিল বেশ দেরিতে হইলেও। পুরা সময় সে অবশ্য আমার চে' নিরাপদ দূরত্বেই ছিল, তাই তারে এইখানেও ছাইড়া দিতে হইলো! আরো বহুকিছু ছাইড়া দিতে মজবুরও হই আমি এইরকম সমাজে গেলেটেলে। সবার এত এত সিরিয়াস আলাপ-আলোচনার মধ্যে চুপ কইরা আমি খালি শুনি আর শুনি। এরা কতোকিছু জানে, কতো কারে চেনে, কতো পড়ে, কতো দ্যাখে, কতো করে, ...! আমি একে একে একত্রিশটা চৈত্র পার কইরা ফালাইয়া খালি ভাবি- সময় তো সবই গ্যাছে, এখন আর কোনো কিছুই শুরু করার সময় আর আসোলেই নাই। মনে মনে ভাঁজি- “ইউ ক্যানট টিচ অ্যান ওল্ড ডগ অ্যা নিউ ট্রিক”! ঝুইলা যাওয়া কান আগায়া দেই খালি বারবার। বলি না তেমন কিছু। শুনি, শুনি আর শুনি।
৬.
সংসারী নজরুল ভাই আর পাণ্ডবদা' সবার থেইকা বেশ আগেই ছুট দিছিলেন বাসার দিশা পাইতে। কিছুক্ষণ পরে টুটুল ভাই আর পান্থও একসাথে সিয়েঞ্জি ধরলে আরোই কইমা যায় লুকজনের গরম। আমি গলার পাশ দিয়া মাফলার টাইট করি। কিছুক্ষণ পরে ঘড়ির ইশারায় অন্যদের রাইখা আমিও উইঠা যাই গোয়ালের ফেরাপথে নামার লেইগ্যা। অন্যেরা কোনোমতে আমার সাথে করমর্দনের সময়টা দিয়া পরপরই আবার চালাইতে থাকে। সব চলতে থাকে, চলতে থাকে। আমি রওনা কইরা মাফলারটারে কানের পাশ দিয়া ঘুরায়া টাইট কইরা প্যাঁচাইতে প্যাঁচাইতে ধীরপায়ে হাঁটি আর ধীরমনে ভাবি- আসোলেই কিছুই না জাইন্যা, কিছুই না কইরা অনেক বেশিই বুড়া হইয়া গ্যালাম! সময় ফিইরা আসবে না, আসে না। সময় নাই। থাকে না।
সংসারী নজরুল ভাই আর পাণ্ডবদা' সবার থেইকা বেশ আগেই ছুট দিছিলেন বাসার দিশা পাইতে। কিছুক্ষণ পরে টুটুল ভাই আর পান্থও একসাথে সিয়েঞ্জি ধরলে আরোই কইমা যায় লুকজনের গরম। আমি গলার পাশ দিয়া মাফলার টাইট করি। কিছুক্ষণ পরে ঘড়ির ইশারায় অন্যদের রাইখা আমিও উইঠা যাই গোয়ালের ফেরাপথে নামার লেইগ্যা। অন্যেরা কোনোমতে আমার সাথে করমর্দনের সময়টা দিয়া পরপরই আবার চালাইতে থাকে। সব চলতে থাকে, চলতে থাকে। আমি রওনা কইরা মাফলারটারে কানের পাশ দিয়া ঘুরায়া টাইট কইরা প্যাঁচাইতে প্যাঁচাইতে ধীরপায়ে হাঁটি আর ধীরমনে ভাবি- আসোলেই কিছুই না জাইন্যা, কিছুই না কইরা অনেক বেশিই বুড়া হইয়া গ্যালাম! সময় ফিইরা আসবে না, আসে না। সময় নাই। থাকে না।
(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-১২-০৮ ০১:০১)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন