ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] প্রতুল মুখোপাধ্যায় আশা করি আমাকে ক্ষমাই করবেন, কপিরাইট অফিসে যাবেন না।

আমি বাংলায় গান গাই,
আমি বাংলার গান গাই,
আমি বেনিয়া আমাকে চিরদিন এই
বাংলায় খুঁজে পাই

আমি বাংলায় কথা কই,
আমি বাংলার কথা কই,
আমি বাংলায় নাচি বাংলায় বাঁচি,
বাংলাই বেচে খাই

আমি বাংলায় দেখি ব্যবসা,
আমি বিজয়ের মদে চূর,
আমি এই বাংলার ব্যাচাকেনা 'রে
এসেছি অ্যাতোটা দূর!

বাংলা আমার জীবনানন্দ,
বাংলা প্রাণের সুখ
আমি একবার বেচি, বারবার বেচি-
বেচি বাংলার মুখ!

লা লালালা লা, লালা লা লালালা লা,
লালা লালালা লা, লা লা লালালা লা।।

আমি ব্যবসাকে ভালোবাসি,
আমি বাংলায় লোভী বেশি,
আমি তারে মাল ক'রে সারাদেশে বেচে
মালামাল হনু বেশি

আমি যা কিছু মুনাফা হাতিয়ে নিয়েছি বিচিত্র লালসায়
ভাসে তের নদী আজ পেটেন্ট-বিজলে কপিরাইট-বচসায়!

বাংলা আমার একলার গ্রাস,
ক্রধ্ব শেষ ছোঁবল
আমি একবার বেচি বারবার বেচি
একই বৃক্ষের ফল

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০১০-০৫-০৮ ০৩:৫১)

কোন মন্তব্য নেই: