ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] আরেক্টুথামুন্হক! আরেক্বার্বুক্মেলান্হক!! ঠিকাছেএইবার্বিদায়মামুন্হক!!!

যখন লিখছি, তার কেবল একটু সময় পরই, বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড়বার কথা রয়েছে ড্রাগনেয়ারের মামুনহকবাহী উড়ালজাহাজটিরসপ্তাহদীর্ঘ নিজদেশসফর শেষে আবার নিজবিদেশে ফিরে যাচ্ছেন আমাদের সচলভাই- আমার ভাই, আপনার ভাই, মামুন ভাই মামুন ভাই!

জনপ্রিয়তার নির্বাচনে যেকোনো সময়ই ব্যাপক ভোট পাবেন তিনি

তার সাথে যখন প্রথম সেই অর্থে আলাপ হয় আমার, ফেসবুক চ্যাটে, সেই সময় থেকে মাত্র কয়েকদিন আগেই তাকে দেখেছিলাম সচলায়তনে তার লেখায়, আমাদের মধ্যকার কমেন্টাকমেন্টির সংখ্যাও তখন দশ (১০) ছাড়িয়েছে কি না সন্দেহ! আমার হ্যাট্রিক ছিনতাই এবং সে-সংক্রান্ত পোস্টের কিছু পরেই, কাঁধের ফেরেশতার মতো হঠাত্ ক'রেই গলা বাড়িয়ে জিজ্ঞেস করলেন আমার হঠাত্-খোলা খোমাজান্লায়- "এখন কেমন আছেন, সাইফুল ভাই?"এরকম সহমর্মিতাগুলো আমাকে বিস্মিতই করে, এখনও কিছু মানুষ নিয়ে বেঁচে থাকার কুমন্ত্রণাও দিয়ে থাকেএই মামুন হক তারপর দেখতে দেখতে অল্প কিছুদিনের মধ্যে পূর্ণ সচলই হননি শুধু - সে আর বিশ্বসংসারের হিসেবে এমন কী-ই-বা বাদ্য বাজাবার মতো ব্যাপার! - এই এত এত সচলের তিনি পূর্ণ বন্ধুও হয়েছেন তেমনই দ্রুত! আমার ধারণামতে (কেউ আমার ধারণার অসত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হ'লে, অনুরোধ থাকলো আমার ভুল ভেঙে দেয়ার), সাম্প্রতিক সময়ে মামুন হক-ই সেই সচল, এককভাবে যার সবচেয়ে বেশি সংখ্যক সচলসতীর্থের সঙ্গে পোস্ট-কমেন্ট ছাপিয়েও সুহৃদ টকিং-টার্ম আর মোটামুটি নিয়মিত ভিত্তিতেই সক্রিয় যোগাযোগ রয়েছেআজ এদেশ তো পরশু ওদেশ ঘুরে বেড়িয়ে যেমন আমাদের ঈর্ষা কুড়াতেই থাকেন তিনি, তেমনি তারও অধিক সম্ভ্রম জাগায় তার এই সবার সাথেই উদাত্ত উন্মুক্ত বন্ধুতা

ওজনে মাপলে হয়তো দেখা যাবে- মা-বাবার কাছেই এসেছেন যদিও, তার এবারের দেশে থাকার সময়টাতে তবু রক্তীয় পরিজনের চেয়ে সচলের বন্ধুরাই বরং মামুন ভাইকে বেশি কাছে পেয়েছেনএই পুরো সপ্তাহের কোনো একটা সন্ধ্যায়ও মামুন ভাই কাজা করেননি সিমনেন্কিদু পরিষদের ভাত-হজম সচলাড্ডাআড্ডায় উদ্যোগে আমার সাথেও দেখা হ'লো এই শেষ দু'দিন যথেষ্ট দশাসই শরীরের ভিতরে পাঁচ নম্বর চর্মগোলক সাইজের একটা দিল নিয়ে চলাফেরা করা লোকটাকে চর্মচাক্ষুস সাক্ষাতেও পছন্দ হ'লো বেশ।

ভালো থাকেন মামুন ভাইভাবীর কাছে ঠিকমতো পৌঁছান গিয়েআর বাবাবাবা (একসাথে দু-দু'জন এলে তো ডাবল-বাবাই হবেন একবারে!) হয়ে সব নিয়ে বিপুলানন্দে থাকেনবিশেষ 'রে ঢাকার সচলদের পক্ষ থেকে আমিই এইখানেও একটু বলি- 'গুড বাই'আরো অনেক অনেক আড্ডায় বৈঠকে কথায় লেখায় আপনাকে চাই

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০৯-২৭ ০১:০১)

কোন মন্তব্য নেই: