ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] শো, ময়না!

কতো কাল আমি ভোর দেখি না!
কতো কাল কাকের ভোরে
ওরকম আর ডাক শুনি না!
সন্ধে তবু পথে পড়ে মাঝে-সাঝে,
রাতের ঘন মালার ঘেরে, ঘোরে,
ভুলে গেছি গোনা-
কতো যুগ যুগ আমি আর ভোর দেখি না!

[হিজরতপূর্ব] অ্যাবসার্ড এইসব ব্লগরিতা

-: কী চাই?
:- সুখী হ'তে?
-: কী চাই সুখী হ'তে?
:- কী চাও?
-: সুখী হ'তে!
:- আর?

[হিজরতপূর্ব] প্রতুল মুখোপাধ্যায় আশা করি আমাকে ক্ষমাই করবেন, কপিরাইট অফিসে যাবেন না।

আমি বাংলায় গান গাই,
আমি বাংলার গান গাই,
আমি বেনিয়া আমাকে চিরদিন এই
বাংলায় খুঁজে পাই

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ১৫: বি-রতির এইপারে

তোর ঘাড়ের ওই
ঘন নোনা ঘামের থেকে-
হু হু ঝেঁপে
নাকে পশে কামের ঘেরাণ!
খুব যে আমার অভ্যস্ত ওটা,
বা পরিচিত-চেনা-
তেমনটি নয় বস্তুত

[হিজরতপূর্ব] লেখাখেলা ... ০২


লেখাখেলা ... ০২

কিচিরমিচির ডাকে পাখি,
সকলেরই খোলে আঁখি
পাখির গানের জন্য,
ফেলে রেখে যাই আমি
থালায় রাখা অন্ন
... ... ... ... ... ...

ডট্ডট্-গুলো কোনোভাবেই আরো বেশি হাস্যকর বোকা বোকা পংক্তি হওয়ার কারণে কাঁচিকাটা না কিন্তু! সত্যিই এই দ্বিতীয় কচিকাঁচা কবি-তার শুধু এই পাঁচটা চরণই মাথায় আছে আমার, বাকিটা সময় খেয়ে নিয়েছে দীর্ঘ বিরতির তীব্র ক্ষুধায় 

[হিজরতপূর্ব] ঠিক সন্ধে নামার মুখে, শোনো পান্থ'র বই ডাকে!


[
আজ ৪ ফেব্রুয়ারি ২০১০ শেষবেলায়, সন্ধ্যার মেঘের রঙ যখন একটু অন্ধকার হয়ে আসবে, তখন বাংলা একাডেমি অমর একুশে বইমেলায় আসবে সবল সচল গল্পকার পান্থ রহমান রেজা'র প্রথম গদ্য সংকলন "সন্ধ্যার মেঘের রঙ অন্ধকার হলে" অর্থাত্, আজ সন্ধ্যা থেকেই মেলার বাকিটা সময়ে এ বইটা পাওয়া যাবে বাতিঘর প্রকাশনী'র স্টলে স্টল নং ২০০নবীন গল্পকারের ব্যাপক ইতিহাসের অংশ হোন আপনিও, এই বইঘর বা মেলা অন্ধকার হওয়ার আগেই।]

[হিজরতপূর্ব] লেখাখেলা ... ০১

আমার লেখাই তেমন পড়ে না লোকে, তার মধ্যে আবার বলে পড়বে সেই লেখা নিয়ে লেখা! নিজের লেখালিখির গল্প মানুষ করে শরীর আর লেখনী দুই-ই যথেষ্ট বয়োজ্যেষ্ঠ হ'লেআমি এখনও এমন কোনোকিছুই ক'রে দেখাইনি বা লিখে পড়াইনি, আরো ঠিক জায়গায় গিয়ে বললে আমি আসোলেই এমন কোনোকিছু হয়েই উঠিনি, কিলিয়ে বা পুড়িয়ে এমন কিছুই পাকাইওনি, যে আমার হয়ে ওঠার গল্প, বা আরো নির্দিষ্ট ক'রে আমার লেখার গল্প মানুষ বা পাঠকের চোখে তেমন রুচবেহ্যাঁ, এটাও এমন কোনো তথ্য না, যা আপনার জানাবোঝা ছিলো না বা যা আমি বিশেষ জাদুকরি নৈপূণ্যে আপনাদের সামনে এইমাত্র উন্মোচন করলাম! হুম্, এই অংশটা ডিসক্লোজার না, অবশ্যই ডিসক্লেইমার

[হিজরতপূর্ব] চর্চাপদ ০৮

১.
কর্মের শুদ্ধ সঠিক মান নির্ণয় এমনিতেই দুস্কর, তাও আবার নিজ কর্মের বেলায় এই মূল্যায়নের চেষ্টা তো রীতিমতো তস্করের সাধনার মতোই নিচু কাজ! তবে, পরিমাণে আমার কর্ম মোটামুটি বহুদিকে বহুতবু আমি ঠিক কর্মী নইতারচে' বেশি বরং কর্মক্লান্তঘর্মসিক্ত হয়ে গরমের চরমভাব থেকে পালাতে যাই, শীত খুঁজতে ধাই, কম্বলে মুখ গুঁজতে চাইশীত জুটুক আর না জুটুক, আমি ঘুমন্ত! আমার মতো ঘনঘন শীতনিদ্রা বোধ করি খুব কম মানুষই চাষ করেছে নিজের মূল্যবান জীবনেএকমাত্র জীবনের কতো কতো 'সম্ভাবনা'কে যে আমি ঘুমের ঘোরে পায়ে নেড়ে ভেঙে দিয়ে 'সম্ভব না' 'রে দিয়েছি, সেই হিসেবও পাইপাই করতে চাইলে তার জন্যই আসোলে আর একটা পৃথক জীবন চাই!

[হিজরতপূর্ব] দশরূপক'র বিসর্জন (রঙ্গমঞ্চ চর্চাকড়চা ০২)

[নাটক, মোটামুটি ভালো মানের থিয়েটার, দেখলেই আমি চার্জ পাইআর, আমার চার্জ পাওয়ার ফল বা সূচক হয় কিছু ভালো কাজের চেষ্টা ক'রে শীতনিদ্রাপুর থেকে কিছুদিনের জন্য বেরিয়ে আসাসেইসব ভালো কাজের মধ্যেও লেখার চে' ভালো আর কিছুই হ'তে পারে না এই কিছুদিন খুব বেশি ব্যস্ত ছিলাম বললে বাড়িয়ে বলা হবে, কারণ কাজের চাপে এমনই তার পেঁচিয়ে ছিল মাথার, যে আসোলে কাজের কাজ কিছুই হয়ে ওঠেনিতাই, বড়জোর বলি- হ্যাঁ, চাপ ছিল বেশ বেশিএখনও শেষ হয়নি সেই চাপ কাবাবএখন এই গভীর রাতেও জেগে থেকে একটা প্রেজেন্টেশনের কাজ শেষ ক'রে সকালেই দাখিল করতে হবে ক্লায়েন্টের জন্যতো, অফিসের জন্যও লিখতে যখন হবেই, সে-সময়েই নাটকের চার্জও জুটলো ব'লে কাজটা সম্ভব মনে হচ্ছে তাই, ভালো কাজ শুরু করা যাক নাটকের প্রতি ঋণশোধমূলক একটা লেখার মাধ্যমেই।]

[হিজরতপূর্ব] নিশ্ছবি আড্ডাব্লগ: ডেটলাইন ৭ ডিসেম্বর ২০০৯

- ১.
যতোসব আজাইরা লুকজন! যতোসব বাজাইরা আড্ডা! আর সেই নিয়া আবার বাজাইরা এক আজাইরা ব্লগারের খাজুইরা এই পুস্ট! প্রথম লাইনে আবার সাজাইন্যা ঢং কইরা ডিসক্লেইমারও মারে!

০.
সবাই হয়তো এখনও খবর পায়া সারেন নাই- ঢাকা শহরে এখন ব্যাপক বিদ্রোহ চলতেছে, টানা, উপর্যুপরি, দিনের পর দিনআরো বেশ কিছুদিন চলবেকার্জন হলের বগলের ভেতর সায়েন্স ক্যাফে'র সামনে তো ব্যাপক হারে হইতেছে প্রতি সন্ধ্যায়! এমনকি মাঝেমধ্যে ঢাকার আশপাশে অন্যান্য দুয়েক জায়গায়ও নাকি একআধটু ছড়ায়া পড়তেছে সেই বিদ্রোহ! কারণ আর কিছু না, স্বয়ং দ্রোহী এখন বাংলাদেশের ঢাকা শহরে 

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ১৪: কাছে কি-বা দূরে, আছি কাছি ধ'রে!

[আবার বহুদিন আমি নাই'নাই' 'লে তো আসোলে কিছু নাইছিলাম তো নিশ্চয়ই কোথাও, অন্য কোনোখানেকোথাও কিছু অশুদ্ধ হয়ে যায় নাই আমার না-থাকায়, বরং যা আমাকে পাশ কাটিয়ে ওই প্রত্যেক সময়টাতেও ঘটেছে এখানেও, সেগুলোই না-পৌঁছানো পাড় হয়ে থাকলো আমারসরেছিলাম বলতে, আসোলে ছুটিই নিয়েছিলাম একটু, এখানকার চৌদ্দআনা দখলদারিতে নিজেকে আর কোথাওই একটুও ব্যয় করতে পারি না ব'লেইছুটতে চাইনি, এখানটা ছাড়তেও চাইনিকোনো লাভের আশায়ও যাইনিকিছু একটা উদ্ধারে নেমেছিলাম অন্য ডোবায় সেটার গল্প এযাত্রায় অন্তত না-ই বা শুনলেন! ফিরলামই, যেহেতু সরতে চাইনি স্থায়ীভাবে ফিরবার ঘোষণা যদি না-ও বলি, চেষ্টা হিসেবে বলি এই পোস্ট-টাকে।]
(
আসোলে, হুদাই ভুংভাং কইলাম হিমু গং-য়ের মতো, কবিতার অন্দরটা একটু পর্দার ভিত্রে রাখার নিমিত্তে! মাফ ক'রে নিয়েন অর্বাচীনের ফাঁপাফাঁপি।)

[হিজরতপূর্ব] চর্চাপদ ০৭

১. হোয়াট'স সো 'গুড' অ্যাবাউট 'বাই'?!

অক্টোবরের ১৮-তে লন্ডনে বউয়ের কাছে চ'লে গ্যালো এক তুলনামূলক দীর্ঘকালের তুলনামূলক ভালো বন্ধুবেশ ক'বছরের জন্যই গ্যালো

ঘর-পরিবার ছেড়ে আমার একলা হয়ে যাওয়ার প্রাচীন প্রকল্পে, সেই ২০০৬ সালে, প্রথম ধাপ হিসেবে যে দুই অনুজপ্রতিম সহদল নাট্যবন্ধুর সঙ্গে উঠেছিলাম 'অন্যপুর' নাম দিয়ে একটা অন্য ফ্ল্যাটের অন্যরকম জীবনে, সে ছিল সেই দু'জনেরই একজনসে-বছরেরই শেষের দিকে নাট্যদলটা ছেড়ে দিলাম লিখিতভাবে মন-মেজাজ খারাপ ক'রে, কিন্তু সে-বন্ধুরা তারপরও ছিল আমার সাথেদলে একদিকে আমাকে 'ষড়যন্ত্রী' আখ্যা দেয়া হ'লো এবং কিছুদিনের মধ্যেই তার ফল হিসেবে ওই দু'জনেরও ঈমানের পোক্ততার বিষয়ে সন্দেহ উঠলো, আর সেই একই সুতোয় আমাদের সেই রামপুরা''অন্যপুর'টাকে চিহ্নিত করা হ'লো সকল নষ্টের উত্সস্থল হিসেবে'অন্যপুর''বাড়তি' ঘরটা থেকে স'রে গ্যালো, যতোটা না স'রে গ্যালো ততোটা আসোলে আমিই সরিয়ে দিলাম, দলের নাটকের বিস্তর মঞ্চ-সরঞ্জামআমি অন্যদিকে এই বিষয়েও শিক্ষিত হ'লাম, যে- বন্ধুদের সঙ্গে বন্ধুত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য মৌলশর্তের মধ্যে টাকা ধার না-দেয়ার সাথে সাথে একসাথে এক বাসায় না-থাকাটাও পড়ে

[হিজরতপূর্ব] মিথ্যেপ্রেম ০২, অথবা কবি-তা ১৩ (তাই বুঝি অপয়া!)

<'> কী যে নরম!
>'<
কী?
<'>
এই দু'হাত
>'<
তাতে হ'লোটা কী?!
<'>
আদর, শান্তি, আর আরামশত জীবনেও ভুলবো না

বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ১২: না-ছড়া-নো সাময়িকী

[এইটার ভূমিকা হৈলো- এইটার আবার কী ভূমিকা লাগে, অ্যাঁ?!]

আবার হাওয়ার ঠাট্টা-হাসি
আবার অক্টোবর
শাপে বর, না বরেতে শাপ-
বোঝাটা দুষ্কর!

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ১১: হাইকু'র জন্য সুখ-ই বোধ হয় সবচে' হাই-কোয়ালিটি সাবজেক্ট!

[উত্সর্গ (প্রেরণা কিংবা গিট্ঠু, কিংবা নেহাতই সৃষ্টি-অসুখ চুলকানি):
নজরুল ইসলাম' দশ টাকার ফালতু জীবন আর মূর্তালা রামাত' সুখ]


'
সুখ' 'লে কি
আছে কিছু এ মর্ত্যে?

রবিবার, ৩ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] একপংক্তিকা -দুই

চাকর! চা কর!!

[একে তো বেশি কম শব্দে পোস্ট হয়ই না এখানে, তার ওপর আবার সিঙ্গেল লাইন পোস্টের ব্যাপারে কথা যখন উঠেছিল, তখন তেমন কোনো সুনির্দিষ্ট নীতির আভাস পাওয়া যায়নি মডুগণের কারো কাছ থেকেসর্বোপরি এমন নৈমিত্তিক (জানি না- এই শব্দে 'ক্যাজুয়াল'এর পুরো অর্থ পাওয়া যায় কি না) কথায় পোস্ট বানানো বাতুলতাও মনে হ'তে পারে অনেকের কাছেইএসব মিলিয়ে নিয়েআর, মডারেটরদের কাছে এখান থেকে মডারেশনের জন্য পাঠালে ব্যাপারটা পরিষ্কার হবে কি না (হঠাত্ ভুলক্রমে হয়েছে ব'লেও মনে হ'তে পারে!)- সে-বিষয়েও কেন যেন দ্বিধা লাগছে একটু! তাই, সেটা না ক'রেই এই মুচলেকা-সমেত পোস্ট দিচ্ছি,- যদি মডারেটর কেউ এটাকে অযোগ্য মনে করেন বা নিরুত্সাহিতও করতে ইচ্ছা করেন এরকম অপ্রতুলতা, তবে আমাকে একটু টোকা দিয়ে পোস্ট প্রথম পাতা থেকে সরিয়ে শুধু আমার ব্লগে ঠেঁকিয়ে দিলেও অনুযোগ থাকবে না কোনো আর, এই এতক্ষণের বলাবলিটাই যদি বাতুলতা বা আদিখ্যেতা হয়ে থাকে বরং, তবে তো আর কিছু বলার বা করার নেই, তবে তো ঠিকই আছে, অন্তত বিষয়টা সম্পর্কে পরিষ্কার তো হওয়া যাবে
আর, অফিসে সকালবেলার বাস্তবতায় এই একপংক্তিকা মাথায় এলেও 'চাকর' শব্দটাকে সাহিত্য-খাতিরে দেখার অনুরোধ রইলোএটাকে আপত্তিকর হিসেবে নেবেন না কেউ- এই আশাই থাকলোআমাদের অফিসে যারা চা করে, তাদেরকে 'চাকর' ডাকি না আমরা- তা তো বুঝতেই পারেন]

[হিজরতপূর্ব] আরেক্টুথামুন্হক! আরেক্বার্বুক্মেলান্হক!! ঠিকাছেএইবার্বিদায়মামুন্হক!!!

যখন লিখছি, তার কেবল একটু সময় পরই, বাংলাদেশ সময় রাত ১টা ৫৫ মিনিটে ঢাকা থেকে উড়বার কথা রয়েছে ড্রাগনেয়ারের মামুনহকবাহী উড়ালজাহাজটিরসপ্তাহদীর্ঘ নিজদেশসফর শেষে আবার নিজবিদেশে ফিরে যাচ্ছেন আমাদের সচলভাই- আমার ভাই, আপনার ভাই, মামুন ভাই মামুন ভাই!

জনপ্রিয়তার নির্বাচনে যেকোনো সময়ই ব্যাপক ভোট পাবেন তিনি

[হিজরতপূর্ব] একপংক্তিকা -এক

"সেলিনা, ভাল্লাগে না!"
.........................................................

[পাদটীকা: জীবনে বহুবার আমার এই লাইনটি চিত্কার ক'রে বলতে ইচ্ছে হয়েছে বহু বহু সেলিনাকে, কিংবা উদ্দেশ্যহীনভাবে নিজ একান্তেওতবে, এই একপদী কবিতাটি আমার নিজের সৃষ্টি নাএটা আমার অগ্রজ সহোদর, অকালে আত্নঘাতী হওয়া (মানুষ বা প্রাণী হিসেবে না, কবি হিসেবে) কবি, সাইফুল মেহেদী (খান)'১৯৯৯/২০০০ সালের দিকেরএটার অন্য কিছু সবিস্তারও আছে অবশ্য, যা পরে কখনও বলবো অন্য কোনো পোস্টে প্রাসঙ্গিক হয়ে এলেতবে, এই পোস্ট কিন্তু এক লাইনের, ।]

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০৯-১৯ ০১:২২)

[হিজরতপূর্ব] চর্চাপদ ০৬

-১. ধন্যবাদ প্রস্তাব
লিখতে ঢুকেই খেয়ালরসের বাবা, আর রক্তসম্পর্কে আধুনিক বাংলা চলচ্চিত্রের দাদাস্থানীয়, বহুমুখী সমবায় সমিতি প্রতিভা সুকুমার রায়বাবু'র ওপর ব্যানার দেখে অনেক ভালো লাগছেজয় গুরু!
আর, সচল-মডারেটরদেরকে (বিশেষ ক'রে হিমুকে) তেলছাড়া তাওয়ায়-ভাজা পাঁচটা সাধুবাদ এবং ধন্যবাদ

০. ভনিতা/কৈফিয়ত
শুনতে কারো কাছে অতিআদর্শবাদী, অতিশুদ্ধবাদী, আদিখ্যেতা এমনকি ন্যাকামোও মনে 'তে পারে,

[হিজরতপূর্ব] আরেক প্রবাসী/বিশ্বায়িত সচলের আজ জন্মদিন!

নিজের "গ্লোবালাইজেশন" নামক দ্বিপদ কবিতায় সে লিখেছিল-
যদিও বাংলাদেশে হয় তার হিসু
মেড ইন ফ্রান্স তার টয়লেট টিস্যু!

তার অভিষেক বইয়ের ফ্ল্যাপ-জয়ঢাকে বিশ্বজিত্ ঘোষ স্যার (বাংলা বিভাগ, ঢা.বি.) প্রথম বাক্যেই তাকে প্রধানত চিহ্নিত করেছিলেন বিশ্বায়ন যুগের কবি হিসেবেঢা.বি.' ইংরেজিশিক্ষিত [স্নাতক (সম্মান) এবং স্নাতকোত্তর] এই ভদ্রলোকের বিচরণ বিশ্বসাহিত্যে নিতান্ত কম নয়- সেটা এখানকার অনেকেই জানেনব্লগে দিনকেদিন তার করা বিদেশী কবিতার অনুবাদে তার ওরকম একটা ব্র্যান্ড ইমেজও পাওয়া গ্যাছে বেশ আগেইগত একুশে বইমেলা'য় বের হওয়া তার দ্বিতীয় কবিতা-বইটিও "অনুবাদ কবিতা"হ্যাঁ, ঠিক ধরেছেন, আর না-ধ'রে থাকলে এখনই ধরেন, সেই "কষ্টালজিয়া"র কবি মূর্তালা রামাত'র কথাই বলা হচ্ছেবিশ্বায়ন খালি তার কাব্যচর্চায় না, এখন বসবাসেও উচ্চতর শিক্ষার উদ্দেশ্যে (এবং আমার চোখে উচ্চজীবনের জন্যও) নিজেই এখন প্রবাসী (বা আমার চোখে বিশ্বায়িত) হয়েছে সে। "মেড-ইন"-এর সময়ও পেরিয়ে সে এখন সশরীরে, এমনকি সস্ত্রীশরীরে অস্ট্রেলিয়া'র সিডনি-তে অবস্থান করছে, আর ব্যস্ততায় একটু একটু ক'রে ডোজ কমিয়ে আমাদেরকে ভুলে যাচ্ছে
[আর, আমার ব্যক্তি-কপাল-টা তো আরো খারাপ, মূর্তালা বেশ কয়বার আমাকে ওই দূরদেশ থেকে ফোন করেছে এর মধ্যে, কিন্তু একবারও ঠিকঠাক কথা বলতে পারিনি, কারণ ওই প্রতিটা সময় আমি অফিসে ভয়ানক লাস্ট-মিনিট-হারি'র উপরে ছিলাম!]

[হিজরতপূর্ব] চর্চাপদ ০৫

আর থার্সডে নাইট!

'বৃহস্পতিবার'! উচ্চারণ করতেই কেমন বড় বড়! বলছেই 'বৃহস্পতি'! তো, বড় তো হবেই, না? বিজ্ঞাপনের কাজের অফিসে বৃহস্পতিবার বিকাল-টা কখনই ছুটির ডাক না সেভাবে, কারণ পরের দুইদিন বন্ধ ব'লে বৃহস্পতিবারেই থাকে সর্বোচ্চ পজিটিভ-আউটপুট ('ইতিবাচক' আর 'ফলাফল' অর্থে না, প্রেসের স্ট্রিক্ট টার্মে 'পজিটিভ' আর 'আউটপুট'!) দেয়ার ভয়াবহ তাড়া! ক্লায়েন্ট মাত্রই চায় বৃহস্পতিবারে ক্রিয়েটিভ জিনিসের আইডিয়েশন বা ডিজাইন-লেআউট অ্যাপ্রুভ ক'রে দিয়েই রবিবারের ফাইন-মর্নিংয়ে লম্বা সহবাস-ঘুমের উঁচু হাইয়ের সাথে, হাইক্লাস চায়ের সাথে প্রডাকশন দেখবে আর মতামত োদাবে! মানে, শুক্র-শনির দিনগুলোয় যখন তারা সপরিবারে ফ্যান্টাসি কিংডমে হাট্টিমাটিমটিম করতে করতে সুখের ডিম পাড়বে, তখন তাদের রবিবারের ফাইন-মর্নিং আর গুড-ডে নিশ্চিত করতে আমাদের থাকতে হবে অ্যাডমেকারস আর প্রিন্টারসের সাথে কখনও সশরীরে কখনও অন্তত ফোনে লেগে- ঠেলাধাক্কায়, টানাপোড়েনে, আর তাগাদার পর তাগাদায়আর এই শুক্র-শনিতে ক্লায়েন্টকে যেহেতু পাওয়া যাবে না বা যাতে শুক্র-শনিতে ক্লায়েন্টের আরামের মধ্যে বিরক্ত না করতে হয়- সেই কারণে, ক্লায়েন্ট সদয় হয়ে ঘাড়ের ওপর থাকতে থাকতে যা পারো অ্যাপ্রুভ করাও, তারপরে যদি পারো যতো পারো মুড়ি খাইও।

বুধবার, ১৫ সেপ্টেম্বর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সং ভং চং (রঙ্গমঞ্চ চর্চাকড়চা ০১)

“জ্ঞান ও ক্ষমতা সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতে ভাষাবাহিত অভিব্যক্তি সর্বদাই স্ববিরোধী। ভাষার মধ্য দিয়ে দ্যোতিত অর্থ একমাত্র সত্য নয় বলেই ভাষা নিজেকেও নাকচ করতে থাকে। আর তাই ‘লোকনাট্য’ পরিভাষাটি হয়ে ওঠে প্রশ্নবিদ্ধ। কেন না এই নামকরণের নেপথ্যে সঞ্চালিত থাকে আধুনিকতাবাদী ঔপনিবেশিক নাগরিক মনোভঙ্গির হেজিমনি, কিংবা সম্প্রসারিত ও সুনির্দিষ্ট অর্থে- জ্ঞান উত্পাদন সংক্রান্ত ক্ষমতা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগ জ্ঞান, ভাষা ও ক্ষমতার পারস্পরিক নিবিড় ঘনিষ্ঠ মিতালীর জটিল ও বহুস্তরায়িত এই বাস্তবতার মধ্যেই বিদ্যমান। তাই, ‘লোকনাট্য’র প্রাতিষ্ঠানিক অধ্যয়ন ও অনুশীলনে ধ্যানস্থ হতে গিয়ে

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ১০: {এটা আমার লেখা না। (তাই আমার ওপর রাগ করা চলবে না।)}

চেরাগ ঘষার মতোন যখনই
শূন্য সাদা কাগজে ঠুকেছো
অস্থির খোলা কলম তোমার,
আমি ধরা দিয়েছি সকল
উচ্ছ্বাস, উদ্বেগ, অনিদ্রায়।
যখন যাকে ভেবেছো চেয়েছো
হৃদয়ের গভীর কাছে,
ছুঁতে চেয়ে, পেয়ে-না-পেয়ে