ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

বৃহস্পতিবার, ১৪ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ১৫: বি-রতির এইপারে

তোর ঘাড়ের ওই
ঘন নোনা ঘামের থেকে-
হু হু ঝেঁপে
নাকে পশে কামের ঘেরাণ!
খুব যে আমার অভ্যস্ত ওটা,
বা পরিচিত-চেনা-
তেমনটি নয় বস্তুত

তবু, ওই যে
পয়লা দেখায় চিরচেনা লেগে যাওয়া
সুলিখিত মুখের মতোই,
মুহূর্তে বুঁদ হওয়া
অচেতন মূক সে সুখের মতোই,
যেন গতজন্মা সুগভীর ভালোবাসায় কেনা!

জন্মদেনা-রায় জ্ঞানে,
মুখবোজা দায় মেনে,
পরশের পথ বুনে,
বান বিনা এ বেলা যে
ভেসে এলো প্রেম জাতিস্মর!
আর একটু তবে ঘন হ' রে মেয়ে!
ঘনিষ্ঠ আঁধারেই পথ বেয়ে আদরের,
সে-ভ্রমণে খুঁজি ফের আমোদের ঈশ্বর!

[০৫ মার্চ ২০১০ দিবাগত রাত ১২:৩০। ফিরোজাবাগ, সাতপাই, নেত্রকোণা]
(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ০৭.০৩.২০১০, ১২:২০)

কোন মন্তব্য নেই: