ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

বুধবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ১১: হাইকু'র জন্য সুখ-ই বোধ হয় সবচে' হাই-কোয়ালিটি সাবজেক্ট!

[উত্সর্গ (প্রেরণা কিংবা গিট্ঠু, কিংবা নেহাতই সৃষ্টি-অসুখ চুলকানি):
নজরুল ইসলাম' দশ টাকার ফালতু জীবন আর মূর্তালা রামাত' সুখ]


'
সুখ' 'লে কি
আছে কিছু এ মর্ত্যে?
কে বা জেনেছি!


সুখ কই হে?
মদ-নারী-মার্কেটে
ঘরে নাই রে!


সুখ কৈ বয়?
নদীটার ঐপাড়ে
আছে নিশ্চয়!


সুখী বলো কে?
যারে ভাবো, সে ভাবে
দুখী নিজেকে!


সুখী কৈ কে যে!
খুশি যার পাল্টেছে,
কী পেয়েছে সে?


'
সুখী' নিজেকে
বলে যে, সে-ই বেশি
পুড়ছে দুখে!


সুখ আর কী?
সুখ বড় শিল্পিত
এক ইয়ার্কি!

[জানি একটু পোলাপান্তি হয়েছে হাইকু'র গড়নে-মানেধারণটা যেমন ইনস্পায়ার্ড, প্রসবটা তেমনটা হয়নি বলেইএমন অজুহাত অন্যায্য মানি, তবু- বিজ্ঞাপনের ফরমায়েশি চিন্তাভারে নুয়ে পড়া মাথাটা এখানেও একটু কুটে কুটে, মরেইছিভরসাহারা চেষ্টাকৃত বুনন, তাই যা হওয়ার তা-ই হয়েছে, হয়তো সুখের মতোই অদূর অধরা অস্পষ্ট কোনো প্রপঞ্চ এক- নেহাতই বোধহীন সাড়াহীন ভাষাদীন একটা কিছু! সম্মানিত সহ-লেখক-সহ-পাঠকেরা মার্জনা ক'রে নিয়েন সময়-প্রতিবন্ধী নগণ্যের এই অপরিমার্জিত দৈন্য।]

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-১০-০৫ ১০:৫৯)

কোন মন্তব্য নেই: