[উত্সর্গ (প্রেরণা কিংবা গিট্ঠু, কিংবা নেহাতই সৃষ্টি-অসুখ চুলকানি):
নজরুল ইসলাম'র দশ টাকার ফালতু জীবন আর মূর্তালা রামাত'র সুখ]
নজরুল ইসলাম'র দশ টাকার ফালতু জীবন আর মূর্তালা রামাত'র সুখ]
১।
'সুখ' ব'লে কি
আছে কিছু এ মর্ত্যে?
'সুখ' ব'লে কি
আছে কিছু এ মর্ত্যে?
কে বা জেনেছি!
২।
সুখ কই হে?
মদ-নারী-মার্কেটে।
ঘরে নাই রে!
সুখ কই হে?
মদ-নারী-মার্কেটে।
ঘরে নাই রে!
৩।
সুখ কৈ বয়?
নদীটার ঐপাড়ে
আছে নিশ্চয়!
সুখ কৈ বয়?
নদীটার ঐপাড়ে
আছে নিশ্চয়!
৪।
সুখী বলো কে?
যারে ভাবো, সে ভাবে
দুখী নিজেকে!
সুখী বলো কে?
যারে ভাবো, সে ভাবে
দুখী নিজেকে!
৫।
সুখী কৈ কে যে!
খুশি যার পাল্টেছে,
কী পেয়েছে সে?
সুখী কৈ কে যে!
খুশি যার পাল্টেছে,
কী পেয়েছে সে?
৬।
'সুখী' নিজেকে
বলে যে, সে-ই বেশি
পুড়ছে দুখে!
'সুখী' নিজেকে
বলে যে, সে-ই বেশি
পুড়ছে দুখে!
৭।
সুখ আর কী?
সুখ বড় শিল্পিত
এক ইয়ার্কি!
সুখ আর কী?
সুখ বড় শিল্পিত
এক ইয়ার্কি!
[জানি একটু পোলাপান্তি হয়েছে হাইকু'র গড়নে-মানে। ধারণটা যেমন ইনস্পায়ার্ড, প্রসবটা তেমনটা হয়নি বলেই। এমন অজুহাত অন্যায্য মানি, তবু- বিজ্ঞাপনের ফরমায়েশি চিন্তাভারে নুয়ে পড়া মাথাটা এখানেও একটু কুটে কুটে, মরেইছি। ভরসাহারা চেষ্টাকৃত বুনন, তাই যা হওয়ার তা-ই হয়েছে, হয়তো সুখের মতোই অদূর অধরা অস্পষ্ট কোনো প্রপঞ্চ এক- নেহাতই বোধহীন সাড়াহীন ভাষাদীন একটা কিছু! সম্মানিত সহ-লেখক-সহ-পাঠকেরা মার্জনা ক'রে নিয়েন সময়-প্রতিবন্ধী নগণ্যের এই অপরিমার্জিত দৈন্য।]
(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-১০-০৫ ১০:৫৯)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন