ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] খেপেছি :(

অন্য অনেক টাটকা আর সময়-প্রাসঙ্গিক বিষয়াশয় নিয়ে কথাবার্তা হচ্ছে এই আয়তনে, সব অন্য সময়ের মতোই। সব ঠিকমতো অনুসরণও আমার হয়ে উঠছে না কাজের চাপে। একটা কথা, খুবই অন্য কথা, এখানে এখনই বলার তাড়না অনুভব করছি, জানি না এটা জাস্ট শেয়ারিং নাকি কোনো ভমিটিং, আসোলে কিছুদিন থেকে অনেক বেশি হারে আশেপাশে দেখে দেখে বিরক্ত হ'তে হ'তে গতকাল রাতেও বাসায় ফেরার পথে
একবার ওই জিনিস দেখে সেই থেকে মেজাজটা আমূল তুমুল খিঁচে খিঁচড়ে আছে একেবারে।

ব্যাপারটা সাত-আট-দশ বছরের মেয়েদেরকে বোরখা পরানোর মতো মানবেতর একটা ব্যবহার নিয়ে।

আমার মনে হয়- বাবা নামের যে পুরুষগুলো এরকম ছোট মেয়েদেরকে বোরখা পরায়, তারা প্রত্যেকে একেকটা পেডোফাইল!- এমনকি নিজের শিশুকন্যাকে দেখলেও তার পুরুষমনের ভিতরে খারাপ চিন্তার উদয় হয়! নিজের কামচোখ থেকেও বোধ হয় সে তার কন্যাকে নিরাপদ রাখতে পারে না বোরখা না পরালে!

ধিক সভ্যতার আবরণে এই অন্ধকার বর্বরতাকে! ধিক সেই পৌরুষকে!! ধিক সেই অন্যায় অন্যায্য অযোগ্য পিতৃত্বকে!!!

স্যরি, এমন অকওয়ার্ড একটা বিষয়ে এভাবে কথা বলার জন্য। এখন এই আউটবার্স্টের সুবাদেও যদি মাথাটা একটু ঠাণ্ডা করতে পারি, এটুকুই আমার হীন স্বার্থ বলতে পারেন।

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০৮-১২ ০৯:০০)

কোন মন্তব্য নেই: