ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] বারেবার বারো! :(

বাসা থেকে বেরিয়ে বারোপ্রস্থ সিঁড়ি বেয়ে নেমে বারোটা খালি রিকশা দেখেও একটাকেও না জিজ্ঞেস ক'রে (যেহেতু ওরা কোথাও যায় না!) বারো মিনিট হেঁটে বাস কাউন্টারে পৌঁছে বারো টাকার টিকিট কেটে অফিসের বারোটা কাজের চিন্তা মাথায় (যেন!)বারো ঘণ্টা অপেক্ষার পর বারো'রই উল্টো সংখ্যা একুশে'র বাসে উঠে বারো রকম মানুষের বারোশ' রকম প্যাঁচালি শুনতে শুনতে
বিরক্ত আর আরো বেশি বিক্ষিপ্ত হয়ে বারোবাঁকের রাস্তায় সিগন্যাল যান আর জটের বারো রকম ঝামেলা পার হয়ে বারোটা বাজার মাত্র বারো-গুণন-দশ মিনিট আগে বারো-রকম-অফিস-পাড়া মহাখালীতে নেমে বারো টাকায় এই বেচারা-ব্যাচেলর-বার্ধক্যের ব্রেকফাস্ট(!) 'মিস্টার কুকি' কিনে নিয়ে বারোতলার একদমই আগের ফ্লোরটায় আমার এই বেশি-বেলার বারো-ভাতারী বিজ্ঞাপন-বাণিজ্য অফিসটায় ঢুকে বারোমুখের ভিড়বাট্টা পেরিয়ে সেরেই খদ্দের-সম্পর্ক-নির্বাহীর কথায় মনে পড়লো- ওহ্ দুপুর বারোটায় আজ একটা বেতার-বিজ্ঞাপনের রেকর্ডিং আছে বেইলি রোডে! আর সেখানে আমার না কি না গেলেই নয়!

হায় রে বারো!

আমার দেখি সবখানে সবসময় সবদিকে সব অর্থে ওটাই বেজে আছে!

[২০ জানুয়ারি ২০০৯, ১০:২৫, মহাখালী]
(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০১-২০ ১০:৩১)

কোন মন্তব্য নেই: