ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ০৯, অথবা চর্চাপদ ০৪

আবর্তন, কিবা প্রত্যাবর্তন!
কিছুরই ফল কিছু নেই-
কিচ্ছুটি এসে যায় না,
যেমন কিনা নির্বাসনেরও
ঘুণাক্ষরে ছিল না আর কোনো মানে।
কারোরই এইসবে

হেরফের হয় না কোনো শহরের ওইসবে-
এর কোনো জের থাকে না
নগরের আর্দ্রতা বা জল-হাওয়া-তাপমানে।
নাগরিক আমরা তো তাসঘরে ধূলোর নাগর!
পালা ক'রে পাট আসে কারো কোনোবার,
চুকে যায়, ফের আসে-
সময়ের তারেবাঁধা ফেরি পারাপার!

ঘুণ যাকে চেনে একবার-
জঙ্গলে কি দেয়ালের মাঝে,
দঙ্গলে কি নিরলের বাসে,
সে কি আর থাকে কভু অজর অক্ষর?

স্বেদ কিংবা রক্ত কিংবা অশ্রু-
বিন্দু থেকে সিন্ধুর মাপে
একই সে ক্ষরণেরই কাব্য সকল।
অঞ্চলভেদে নামটাই যা ভিন্ন কেবল!

[২০ জুলাই ২০০৯
মহাখালী, ঢাকা]
(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০.০৭.২০০৯, ০৮:২০)

কোন মন্তব্য নেই: