ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

মঙ্গলবার, ৩১ আগস্ট, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ০৫: দোহারা দোহাই

স্মৃতির গভীর ভিড়ে অবিন্যস্ত আবার যে সময়গুলো,
খাঁজে ভাঁজে ছিল যেই পুরোনো মুখের মালা-
সবই অস্ত গেলে, ভাগ্যে
সুবেহ্ সাদিকের আলো হয়ে
তুমি চিরে নিলে সেই আঁধার।
চিরকৃষ্ণ আমাকেও টেনে নিয়ে দীর্ঘ শুক্লপক্ষে,

তুমি হ’লে পারষ্পরিক রোদের আধার।

গ্রাস করছিল আমায় কিনে নেয়া চেনা মেঘগুলো,
সমূলে ভেজাচ্ছিল তুমুল গরম ঘনভাঁপে।
ছোঁ-তে এনে ডানার ভেতর গুটিয়ে নিয়ে,
শুকিয়ে আমায়, তুমিই যখন ওম!-
শ্যামলে সুনীলে ফোটালে নতুন চোখ-
উদলা উদার, তুমিই এমন আমার
হয়ে থেকো আন্তরিক আলোর শরীর।

(ব্যতিক্রমীভাবে, আমার এই পংক্তিগুলো আত্নজৈবনিক নয়- বরং আদর্শ কাল্পনিক!)

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০৫-০৪ ১৯:২৯)

কোন মন্তব্য নেই: