ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ০২: অবান্তর জন্মান্তরে 'প্রজাপতি'

প্রজাদের তো নয়ই,
কারও আমি পতি হইনি কখনও।
ক্ষণজীবী প্রজাপতি তবু হয়েছিলাম-
নান্দনিক এক নারী যখন
নীরব চেয়েছিল যুক্তিহীন মায়ামুগ্ধতায়,
ছুতোহীন ছুঁয়েছিল আঙুলের ডগা,
অন্য পুরুষের দখলে এখন
যার আটপ্রহরের সে।
হয় তো সে দখল আজ নির্ভরতার নিশ্চিন্ত নিশ্বাস,
হয় তো মেঘের ডানায় নিয়ম ক'রে উড়তে যাওয়া,
হয় তো বা আরো কিছু ফুরুত্ ফুরুত্-
গাঢ় সবুজ ঘাসের পিঠে
হালকা সবুজ, অবাধ অবুঝ ঘাসফড়িং।
কিংবা, হয় তো
হলুদ কোনো বিকেল এলেই
বোবা দু'টো গভীর অবাক চোখে
এখনও খুঁজে ফেরা অতীত সে প্রজাপতিটাকেই।
- সে খবরও আজ আর পৌঁছায় না
এই নিরর্থ মানুষ-জনমের
ফাঁকা মরু-বারান্দা বা চৌকাঠে।

কল্পনা নয়, নয় কোনো ভাববিলাস।
বেদম সত্যি এক সত্য হয়ে
সে নারী আছে
আমার বেঘোর অস্তিত্ব জুড়ে,
তবু অন্য সুজন ভাগ্যপতির সংসারে।

[৬ ডিসেম্বর ২০০৬ রাত ১১:৫০, অন্যপুর]
(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৮-১২-২৩ ১৯:০৪)

কোন মন্তব্য নেই: