ধুলো ঝেড়ে, সোঁদা ঘাসে পেতেছি মাদুর ...

সৌজন্যের অভ্যাস আর শান্তিতে বিশ্বাস থাকলে যেকোনো মহল্লার যেকোনো প্রাপ্তমনস্ক ছেলে বা মেয়েই এই মাঠে খেলতে পারবে। খেলার ডাক না দিতে পারলেও অংশগ্রহণের জন্য আসতে কারো জন্য কোনো বাধা-নিষেধ বা রেষারেষি নেই। হোক খেলা, তবু সব খেলারও তো কিছু নিয়মনীতি আছে, তাই না? স্বাধীনতার একটা যমজ ভাই আছে, নাম দায়িত্ব। সেমতে, নীতির ওপর আস্থা রাখা গেলে নিয়মের ভার নিশ্চয়ই বেশি একটা কঠিন হবে না। আর, প্রয়োজনে কখনো বল/ব্যাট/গার্ডার/গ্লভস জাতীয় জিনিসপত্তর খেলোয়াড়ের নিজের ঘর বা গাঁট থেকে নিয়ে আসতে হ'তে পারে। তবে, সুঁই-আলপিন-ছুরি-চাকু-ইট-পাথর-ডাণ্ডা বহন ভীষণভাবে নিষিদ্ধ!

সোমবার, ৩০ আগস্ট, ২০১০

[হিজরতপূর্ব] কবি-তা ০৪: পতিত প্রতিবেশ!

তোমার সাথে থাকে জানি অন্য একটি লোক।
একটাই পরিচয় জানি আমি তার-
তোমার সে সুভাগা সহবাসী।
লাখ-কোটির হিসেব জানি না,
জানি- সে যে তুমি-পতি।
পৃথিবীর আর কোনো পরিচয়ে

জানো এসে যায় না কিচ্ছুটি।

যতোদূর ঠাহর হয়-
একই পাড়ায় সুদিন আর স্বপনদেরও বাড়ি।
ওরা দু’ভাই কিচ্ছু জানে না,
জানো না তুমি,
খোদ খোদা-নির্মিত সুখনগর আবাসিকের
কাক কিংবা পক্ষী,
কেউই তোমরা জানো না-
তোমার জন্য নিদেন কোনো ঝুঁকি ছাড়াই
অদৃশ্যই তোমার ঘরে,
মনে আর জানালায়-
ফাঁকে বেঁকে কষ্ট বুকে উঁকি উঁকি মারে,
বসবাস নয়- বেগতিক ঘুরঘুর করে
আমার চেনা যমজ দু’টি বোন-
একজন আমার ইচ্ছা,
আর অন্য বোনটি ঈর্ষা!

[৩ ফেব্রুয়ারি ২০০৯
দিবাগত রাত ৩টা
অন্যপুর]

(আদি পোস্টাইম @সচলায়তন: ২০০৯-০২-০৮ ২১:৪১)

২টি মন্তব্য:

জুয়েইরিযাহ মউ বলেছেন...

ভাল্লাগ্লো ভাবনাটি... :)

সাইফুল আকবর খান বলেছেন...

ভাল্লাগলো আমারও। অনেক অনেক ধন্যবাদ। :-)